1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে পুলিশের কোপে প্রাণ গেল শিয়া মুসলমানের

৭ নভেম্বর ২০১৪

পাকিস্তানে আবারও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হত্যা৷ এবার সাহাবিদের সম্পর্কে খারাপ মন্তব্যের অভিযোগে একজনকে থানার ভেতরেই কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মেরেছে পুলিশ৷ খ্রিস্টান দম্পতিকে পিটিয়ে মেরে ইটভাটায় পোড়ানোর এক দিন পরই ঘটল এ ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/1Diso
Polizist in Pakistan
ছবি: AFP/Getty Images/A. Ali

দুটো ঘটনাই ঘটেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে৷ মঙ্গলবার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনের অবমাননার অভিযোগে পূর্বাঞ্চলীয় ওই প্রদেশেই পিটিয়ে হত্যা করে ইটভাটায় পোড়ানো হয় এক খ্রিস্টান দম্পতিকে৷ নিহত দম্পতির তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে৷

বুধবার পাঞ্জাব প্রদেশেরই গুজরাট শহর থেকে তোফায়েল আহমেদ নামের এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে উত্তেজিত জনতা৷ ৫৫ বছর বয়সি তোফায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সঙ্গী, অর্থাৎ সাহাবিদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন৷ থানায় সোপর্দ করার পর পুলিশই কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মারে তোফায়েলকে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গুজরাট থানার পুলিশ কর্মকর্তা খুররম শেহজাদ বলেছেন, ‘‘কয়েকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ও (তোফায়েল হায়দার) সাহাবিদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছিল৷ ভোর পাঁচটার দিকে নাভিদ আর আবেগ সামলাতে পারেনি৷ ও নিজের সেল থেকে একটা কুড়াল নিয়ে আসে এবং লকআপে ঢুকে হায়দারের গলায় কোপাতে শুরু করে৷'' ঘটনাস্থলেই মারা যান তোফায়েল হায়দার৷ হত্যাকারী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ফারাজ নাভিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

পাকিস্তানে জাতিগত সংঘাত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে৷ গত দু বছরে সুন্নিদের হাতে নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার শিয়া মুসলমান৷ দেশটিতে ধর্ম অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ সাবেক সেনা শাসক জিয়াউল হকের আমলে করা ‘ব্লাসফেমি' আইনে ধর্ম অবমাননার অভিযোগের বিচার করা হয়৷ এ আইনে ধর্ম অবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড৷

গত জানুয়ারিতে এক ব্রিটিশ নাগরিককে ধর্ম অবমাননার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত৷ মানসিক রোগগ্রস্থ হওয়া সত্ত্বেও পৌঢ় ওই বিদেশির সাজা মওকুফ করা হয়নি৷ গত মাসে কারাগারেই তাঁর ওপর গুলি চালায় এক পুলিশ সদস্য৷ পুলিশের বিভাগীয় তদন্তে দেখা গেছে, ওই পুলিশ সদস্যকে হামলায় প্ররোচিত করেছিলেন মুমতাজ কাদরি৷ এক সময় পাঞ্জাবের সাবেক গভর্নর সালমান তাসিরের দেহরক্ষী ছিলেন কাদরি৷ সালমান তাসির ব্লাসফেমি আইনে সংস্কার দাবি করেছিলেন৷ ২০১১ সালে তাঁকে হত্যা করে তাঁরই দেহরক্ষী মুমতাজ কাদরি৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য