পাকিস্তানে বিশ্বের উষ্ণতম শহর এবং অন্তঃসত্ত্বাদের দুর্ভোগ
বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ শহর পাকিস্তানের জ্যাকবাবাদ৷ গত মাসে জানা যায় বিষয়টি৷ তারপর থেকে অবশ্য সেখানকার খেটে খাওয়া মানুষ, বিশেষ করে সন্তান-সম্ভবা কর্মজীবী নারীদের জন্য দুশ্চিন্তা অনেক বেড়েছে৷ দেখুন ছবিঘরে...
গরমে মুরগির গোসল
গত ১৫ মে জ্যাকবাবাদে তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল৷ সেদিন বিশ্বের আর কোনো শহরে এত গরম পড়েনি, আর কোনো শহরের প্রাণিকুল গরমে এত কষ্টও পায়নি৷ ওপরের ছবিতে জ্যাকবাবাদের এক সবজিবিক্রেতা মুখে পানি নিয়ে সেই পানি ছিটিয়ে মুরগিকে গোসল করাচ্ছেন৷ গরমে মুরগিটিরও তখন বেঁচে থাকা দায়!
এসি চালিয়ে জুতা সেলাই
তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ফ্যান বা এসি ছাড়া বাঁচবেন কী করে! ফজল মাহমুদ তাই খুব সংকীর্ণ জায়গাতেই একটা এয়ার কুলার লাগিয়ে নিয়েছেন৷ এয়ার কুলারের ঠান্ডা বাতাস গরমটা বেশ সহনীয় করে তোলে, কাজ করতে সুবিধা হয় তার৷
শিশুদের দুরবস্থা
দাবদাহে জ্যাকবাবাদের দরিদ্র পরিবারের শিশুদের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷ ছবিতে টিউবওয়েলের পানিতে গোসল করে শরীর জুড়াচ্ছে এক শিশু৷টিউবওয়েল চেপে এখন যে বন্ধুকে গোসল করাচ্ছে, একটু পরে শুরু হবে তার শরীর জুড়ানো৷ তখন স্নানরত বন্ধুটি টিউবওয়েল চেপে গোসল করাবে তাকে৷
খোলা আকাশের নীচে ঘুম
লোডশেডিং লেগেই থাকে জ্যাকবাবাদে৷ তাই ঘরে ফ্যান, এসি থাকলেও অনেক সময় ঘরে টেকা দায় হয়ে পড়ে৷ তখন এভাবে ছাদে দড়ির বিছানায় রাত কাটায় জ্যাকবাবাদের অনেক মানুষ৷
কর্মজীবী দরিদ্র নারীদের অবর্ণনীয় কষ্ট
সম্প্রতি ৭০টি সমীক্ষা বিশ্লেষণ করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তাপমাত্রা খুব বেশি হলে জীবন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয় বাইরে কাজ করতে যেতে হয় এমন দরিদ্র নারীদের৷ জ্যাকবাবাদের এই নারীকে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ সহ্য করেই দূরের এক টিউব ওয়েল থেকে পানি আনতে যেতে হয় ৷
বেশি কষ্ট অন্তঃসত্ত্বা নারীদের
১৯৯০-এর দশক থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্তে হওয়া ৭০টি সমীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জেনেছেন, দাবদাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়, জীবন বেশি ঝুঁকিতে পড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের৷ ছবির এই নারীর নাম ওয়াদারি৷ কৃষিজীবী ওয়াদারি এক মাসের সন্তানকে শুইয়ে রেখে কাজ করেন৷ সন্তান কেঁদে উঠলে ছুটে যেতে হয় তার কাছে৷
কাঠফাটা রোদে, তরমুজ ক্ষেতে
তরমুজ ক্ষেতে দীর্ঘক্ষণ কাজ করে ছবির এই নারী-শিশুরা ভীষণ ক্লান্ত৷ গরমে প্রাণ যায় যায় অবস্থায় তাই সবাই মিলে হাজির এক টিউবওয়েলের সামনে৷ পালাক্রমে চলছে হাত-মুখ ধোয়া৷