পাকিস্তানে জঙ্গি আস্তানায় হামলার দাবি ভারতের
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯পাকিস্তানের মাটিতে অবস্থিত সম্ভাব্য জঙ্গি আস্তানায় মঙ্গলবার হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারত সরকার জানিয়েছে, নিজের দেশ রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার অধিকার দেশটির রয়েছে৷ বিমান হামলায় ‘অনেক যোদ্ধা' নিহত হয়েছে বলেও দাবি ভারতের৷
কাশ্মীরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বহরে হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে৷ নতুন দিল্লির দাবি, কাশ্মীরে সেই হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘জৈশ-ই-মোহাম্মদ'৷ সেই হামলায় অন্তত ৪০ ভারতীয় আধা-সামরিক সেনা নিহত হয়েছিল, যা ১৯৮৯ সালে কাশ্মীরে বিদ্রোহ শুরুর পর থেকে ভারতীয় বাহিনীর উপর সবচেয়ে বড় হামলা৷
পাকিস্তানে জঙ্গি আস্তানায় হামলা প্রসঙ্গে ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন, ‘‘আমাদের দেশ রক্ষায় এটা একটি দরকারি পদক্ষেপ ছিল৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এব্যাপারে সশস্ত্র বাহিনীকে নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অনুমতি দিয়েছিলেন৷''
দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখালি এক সংবাদ সম্মেলনে জনিয়েছেন, বিমান হামলায় জৈশ-ই-মোহাম্মদ এর অনেক , প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডার এবং জিহাদি নিহত হয়েছে৷
এদিকে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখমাত্র মেজর জেনারলে আসিফ গফুর দাবি করেছেন, ভারতীয় বিমানগুলো তাড়াহুড়া করে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেরবালাকোটে কিছু বোমা ফেলে গেছে৷
বালাকোটের পুলিশ প্রধান ছগির হোসেন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, অপেক্ষাকৃত কম জনবসতিপূর্ণ বন এলাকায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে৷ তিনি দাবি করেন, ‘‘এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি৷ এমনকি বোমা ফেলায় ভূমিতেও কোনো ক্ষতি হয়নি৷''
ঘটনাস্থলের আশেপাশের গ্রামবাসীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে তারা চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, এবং বোমার টুকরোর আঘাতে শুধুমাত্র একজন আহত হয়েছেন৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বৈরি সম্পর্ক থাকা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারির হামলার পর থেকে উত্তেজনা আরো বেড়েছে৷ কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অতীতে দুইবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান৷
এআই/জেডএইচ (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)