পাঙ্ক-রক সংগীতাঙ্গনের তারকা কাম্পিনো
২৩ জুন ২০১১২২ জুন ছিল এই জার্মান সংগীত শিল্পীর ৪৯তম জন্ম বার্ষিকি৷ ২৯ বছর আগে তাঁর সংগীত গোষ্ঠি ‘দি টোটেন হোজেন' নিয়ে যে সাফল্যের অগ্রযাত্রা, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে৷
কাম্পিনোর আসল নাম আন্দ্রেয়াস ফ্রেগে৷ ছোট বেলায় স্কুলের সহপাঠীরা লজেম্স নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার পর থেকে তাঁকে আদর করে ডাকতো কাম্পিনো৷ সেই থেকেই তাঁর এই নাম৷ এই নামেই তিনি খ্যাতি ও সাফল্য পেয়েছেন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পাঙ্ক-রক সংগীতাঙ্গনে৷
আন্দ্রেয়াস ফ্রেগে ওরফে কাম্পিনোর জন্ম ১৯৬২ সালে জার্মানির ডুসেলডর্ফ শহরে৷ ১৯৮২ সালে নিজের কিছু সংগীত শিল্পী বন্ধুদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘দি টোটেন হোজেন' সংগীত গোষ্ঠি৷ কাম্পিনো এই সংগীত গোষ্ঠির প্রধান গায়ক, গীতিকার ও সুরকার৷ তাঁর গান মূলত জার্মান ভাষায়৷ এই ২৯ বছরে প্রায় দু'কোটি বিশ লক্ষ অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷
ফুটবলের প্রতি কাম্পিনো এবং তাঁর গোষ্ঠির সদস্যদের রয়েছে গভীর অনুরাগ৷ তাঁর জন্মস্থান ডুসেলডর্ফ শহরের ফুটবল ক্লাব ‘ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ'কে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর৷ কিন্তু তাঁরা জার্মানির শীর্ষ ক্লাব মিউনিখের এফসি বায়ার্ণকে একেবারেই পছন্দ করেন না৷ তাই এই ক্লাবকে নিয়ে কাম্পিনো একটি গান রচনা করেন৷ যার কথা, ‘অনেক কিছুই হতে পারে, অনেক কিছুই পারে ঘটতে৷ কিন্তু একটা বিষয় আমি নিশ্চিত ভাবে জানি, আমি কখনোই এফসি বায়ার্ণে যোগ দেব না৷' এই গানটি জার্মানির হিট গানের তালিকার প্রথম দশটি গানের মধ্য স্থান পায়৷
রক সংগীতাঙ্গনে কাম্পিনো এখনো রয়েছেন জনপ্রিয়তার শির্ষে৷ সংগীতের পাশাপাশি কাম্পিনো একজন চলচ্চিত্র ও নাট্য শিল্পী৷ বহু খ্যাতিমান পরিচালকের ছবিতে এবং নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি৷ সামাজ কল্যাণ মূলক প্রকল্পের সাথে তিনি জড়িত৷ তার মধ্যে রয়েছে বর্ণ বৈষম্য বিরোধী প্রকল্প৷ তাঁর সংগীতে প্রায়ই সমাজ সচেতনতার প্রকাশ ঘটে গভীর ভাবে৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদে
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ