1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাহাড়ের কোলে অভিনব গবেষণাকেন্দ্র

১ মে ২০১৭

জার্মানির দক্ষিণে আল্পস পর্বতের উপর মেঘের কোলে এক গবেষণাকেন্দ্র৷ সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান গবেষণা চলছে৷ এমনকি বায়ুমণ্ডলের উচ্চতম স্তরের অবস্থাও জানা যাচ্ছে সেখান থেকে৷

https://p.dw.com/p/2cAcN
Luftaufnahme Zugspitzgipfel mit Schneefernerhaus und Münchner Haus Garmisch Partenkirchen Oberbayern
ছবি: Imago

আল্পস পর্বতে প্রায় ৩,০০০ মিটার উঁচু সুগস্পিৎসে জার্মানির সর্বোচ্চ শৃঙ্গ৷ উপত্যকা থেকে ‘কেবল কার’-এ চেপে তার কাছাকাছি পৌঁছানো যায়৷

শৃঙ্গের ঠিক নীচে জার্মানির উচ্চতম গবেষণা কেন্দ্রটি অবস্থিত৷ নাম‘শ্নেফ্যার্নহাউস’৷ গবেষকদের ১০টি দল সারা বছর ধরে এখানে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এবং সব ধরনের পরিবর্তন নথিভুক্ত করে৷ উচ্চতা ও দূষণ-মুক্ত বাতাসের কারণে এখান থেকে জলবায়ু পরিবর্তন অসাধারণভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়৷ বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, কীভাবে হিমবাহ গলে যাচ্ছে৷ যেমন বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানী প্রো. মিশায়েল বিটনার বলেন, ‘‘বিজ্ঞানীরা একত্র হয়ে ঠিক করলেন, তাঁরা তাঁদের সম্মিলিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর কাঠামো বিশ্লেষণ করবেন৷ বিজ্ঞানীদের প্রত্যেকটি বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠীর জ্ঞান আমরা কাজে লাগাতে পারি৷’’

অত্যন্ত সংবেদনশীল যন্ত্রের মাধ্যমে গবেষকরা আল্পস পর্বতের বাতাসে ক্ষতিকারক গ্যাসের মাত্রা মাপেন৷ শুধু কার্বন-ডাই-অক্সাইড নয়, নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণও মাপা হয়৷ কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত সারের মধ্যে এটি পাওয়া যায়৷ মানুষের কার্যকলাপের কারণে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ যে বেড়ে চলেছে, পরিমাপের সময় তা ধরা পড়েছে৷

বিশেষ লেজারের সাহায্যে গবেষকরা এমনকি গবেষণাকেন্দ্র থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডল ও মহাকাশের সীমান্তের তাপমাত্রাও মাপতে পারেন৷ সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বড় প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞানী প্রো. মিশায়েল বিটনার বলেন, ‘‘সে কারণে আমরা বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে পরীক্ষা চালাচ্ছি৷ কারণ আমাদের মতে, সেখানকার তাপমাত্রায় ভূ-পৃষ্ঠের তুলনায় অনেক বেশি পরিবর্তন হতে চলেছে – এক থেকে দুই গুণ পর্যন্ত৷’’

সকালে বিজ্ঞানীরা নতুন যন্ত্র বসাচ্ছেন৷ এই মেঘ গবেষকরা মেঘের রহস্য সমাধান করতে চান৷ তাঁদের পরিমাপ যন্ত্রে মেঘে প্রতিফলিত আলো ধরা পড়ে৷ তার রংয়ের স্পেকট্রাম আবহাওয়াবিদদের বৃষ্টি ও তুষারের উৎস সম্পর্কে মূল্যবান ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ মেঘের মাঝে অথবা তারও উপরে অবস্থান হওয়ায় এই গবেষণাকেন্দ্রের উচ্চতা একেবারে আদর্শ৷

আজকের পরিমাপের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ জার্মানির এক গবেষণা বিমানে সেগুলি বসানো হবে৷ সেটি গোটা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে৷