পিলখানা বিদ্রোহের দুই বছর পূর্তি, ন্যায়বিচারের দাবি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি৷ পিলখানায় বিডিআর সদর দফতরে দরবার চলাকালে বিদ্রোহ করে বিডিআর জওয়ানরা৷ হামলা চালায় তাদেরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর৷ বিদ্রোহী জওয়ানরা একে একে হত্যা করে মেধাবী ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে৷ সেই দিনের সেই নৃশংসতা জাতির জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়৷
দুই বছর পর বনানীর কবরস্থানে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন সেদিনের নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা৷ দাবি করেন সুবিচার৷
শুক্রবার বনানীর কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন৷ শ্রদ্ধা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে৷ বিডিআর সদর দফতরে আয়োজন করা হয় দোয়া মাহফিলের৷ সেখানে অংশ নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু নাগরিক সংহতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন অভিযোগ করেছেন, তারেক রহমান ও ভারতীয় মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহীমের যোগসাজশে পিলখানা হত্যাযজ্ঞ হয়েছে৷ নৃশংস এ হত্যাযজ্ঞের আগে দুবাইয়ে তারেক রহমান ও দাউদ ইব্রাহীম বৈঠক করে৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশ ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে বলে মনে করেন তিনি৷
এদিকে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দুই বছর – অরক্ষিত সীমান্ত ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব' শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিডিআর বিদ্রোহে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যায় জড়িতদের নাম প্রকাশ হলে সরকারের প্রকৃত চেহারা বেরিয়ে আসবে৷ কারণে গত দুই বছরেও সরকার এ নৃশংস ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেনি৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন