‘পুলিশের কোনো শিক্ষা হয়নি'
১০ আগস্ট ২০১৫ফার্গুসন – এক বছর আগে এবং পরে৷ অনেকেই পরিস্থিতির মধ্যে বিশেষ পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন না৷ আজকের অ্যামেরিকা, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অ্যামেরিকায় যে বর্ণবাদের এমন জোরালো অভিযোগ বার বার উঠতে পারে, তা মেনে নিতে অনেকেরই কষ্ট হচ্ছে৷ একদিকে তীব্র আবেগের ফোয়ারা, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা পরিস্থিতি শান্ত করার বদলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে৷ ঘটনাস্থল থেকেই মানুষ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, যেমন টুইটারের মাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন৷
যাজক কোরি বুশ মরিয়া হয়ে লিখেছেন, ‘‘চারিদিক বন্ধ করে ওরা আমাদের উপর কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ছুড়ছে৷ আমরা কীভাবে বেরোবো?''
মাইকেল স্কলনিক পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন, প্রায় ৫০টি পুলিশের গাড়ি দেখা যাচ্ছে৷ বিশেষ সোয়াট বাহিনী এসে পড়েছে৷ বন্দুক প্রস্তুত রয়েছে৷ পরিস্থিতি খুবই সিরিয়াস৷
সাংবাদিক টিম পুল মনে করেন, পুলিশ বুঝছে না, যে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা চালালে আরও প্রতিবাদ দেখা যাবে৷
প্রোপেন জেন আক্ষেপ করে লিখেছেন, চারিদিকে কাঁদানে গ্যাস, সাঁজোয়া গাড়ি, অটোম্যাটিক অস্ত্র থাকলে শান্তির পরিবেশ কীভাবে সম্ভব? এখানে যা দেখা যাচ্ছে, তাই তো বাস্তব৷
টুইটারে ‘হ্যাশট্যাগ ফার্গুসন' লিখে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হলেও ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুক এই হ্যাশট্যাগ ব্লক অথবা সেন্সর করছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকে৷ তাঁরা মনে করেন, এই পদক্ষেপ আসলে ক্ষমতার অপব্যবহারের দৃষ্টান্ত৷
সিএনএন ফার্গুসন-এর অস্থায়ী পুলিশ প্রধানের সাক্ষাৎকার নেবার সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে – এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন মার্সিডিস নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী৷
এনবিসি নেটওয়ার্কের সাংবাদিক ক্রিস্টিনা কোলম্যান জানিয়েছেন, তিনি ভিড়ের মধ্যে একটি ছোট ছেলের কণ্ঠ শুনতে পেয়েছেন, যে পুলিশকে বলছে, ‘‘তোমরা আমাকে খুন করতে চাও!'৷
ব্রিটানি প্যাকনেট হতাশা প্রকাশ করে লিখেছেন, এক বছর পরেও ফার্গুসন ও কাউন্টি পুলিশ কোনো শিক্ষা নিয়েছে বলে মনে হয় না৷
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ