1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পেরুতে আদিবাসী পুলিশ সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৩৩

৬ জুন ২০০৯

পেরুতে আদিবাসী ইন্ডিও জনগোষ্ঠি এবং পুলিশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে ১১জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে৷ এদিকে বিক্ষুব্ধ ইন্ডিওদের হাতে এখনো ৩৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা জিম্মি অবস্থায় রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/I4Yr
ছবি: picture-alliance /dpa

পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট এ্যালান গার্সিয়ার সরকারের নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ বিরাজ করছে সেখানকার আমাজন অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী ইন্ডিওদের মধ্যে৷ দেশের ধনী শ্রেণীর প্রতি সব ধরণের সমর্থন দিলেও আদিবাসীদের প্রতি তেমন নজর দেওয়া হয় না বলে ইন্ডিও নেতারা বরাবরই অভিযোগ করে আসছে৷ গত বছর গার্সিয়া সরকার মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ে একটি আইন পাশ করে৷ বিদেশী তেল কোম্পানীগুলোকে আমাজন অঞ্চলে কাজ করার অনুমতিও দেয় গার্সিয়া সরকার৷ কিন্তু সরকারী এসব নীতিকে নিজেদের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে ইন্ডিওরা৷ তারা মনে করছে তাদের নিজ অঞ্চলের খনিজ সম্পদের ওপর বিদেশী হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে গার্সিয়া সরকার৷

সরকারী নীতি পরিবর্তনের দাবিতে শুক্রবার হাজার হাজার আদিবাসী রাজধানী লিমার ৮৭০ মাইল উত্তরের আমাজন রাজ্যের বাগুয়া এলাকাতে বিক্ষোভ শুরু করে৷ এক পর্যায়ে তারা ডেভিলস কার্ভ নামে সেখানকার মূল সড়কটি বন্ধ করে দেয়৷ পরিস্থিতি বেশী খারাপ হয়ে গেলে এ্যাকশনে নামে পুলিশ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় রক্তাক্ত সংঘর্ষ৷ সরকার দাবি করছে বিক্ষুব্ধ ইন্ডিওদের হাতে ১১ জন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছে৷ অন্যদিকে আদিবাসী নেতারা দাবি করেছে, পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ২২ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে৷ সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা শতাধিক বলে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে৷

এদিকে পেরুর প্রধানমন্ত্রী ইয়েহুদে সিমন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন যে বাগুয়া এলাকার একটি তেল স্টেশনে ৩৮ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে জিম্মি করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা৷ তিনি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে শান্ত হবার আহ্বান জানিয়েছেন৷ অপরদিকে আদিবাসী নেতা আলবার্তো পিজানগো এই ঘটনার জন্য প্রেসিডেন্ট গার্সিয়াকে দায়ী করেছেন৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী