ল্যাম্পপোস্ট ধরে নাচানাচি!
৯ জুলাই ২০১৩স্তানিস্লোয়া স্টুচ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা৷ লোডজ শহরে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সংসারের জন্য দরকারি কিছু জিনিস কিনতে৷ একটা রাস্তার মোড়ে গিয়েই চোখ আটকে গেল ল্যাম্পপোস্টে৷ সেখানে চলছে ‘পোল ড্যান্সিং'৷ স্থানীয় মেডিক্যাল কলেজের মলিকিউলার বায়োটেকনোলজির ছাত্রী ক্যারোলিনা কিচিনস্কা গোলাপি টি-শার্ট আর শর্টস পরে মরচে ধরা ল্যাম্পপোস্টেই দেখাচ্ছেন পোল ড্যান্সিংয়ের নানা কৌশল৷ দর্শকের অভাব নেই৷ সবার মতো ষাটোর্ধ বৃদ্ধ স্তানিস্লোয়া স্টুচও খুশি রাস্তায় বিনে পয়সায় বিনোদিত হতে পেরে৷ ছাত্র কনরাড চাচুলার ভালো লাগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সুন্দরী, যৌন আবেদনময়ীদের দেহের ছলাকলা দেখতে৷
ক্যারোলিনা কিচিনস্কা একা নন৷ তাঁর মতো অনেকেই এখন পোল ড্যান্স শিখে মানুষকে আনন্দ দিচ্ছেন৷ কিচিনস্কা অন্যদের শিখিয়ে বাড়তি কিছু আয়ও করছেন৷ খুব সহজ নয় কাজটা৷ বিশেষ করে রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টে পোল ড্যান্স করতে যাওয়া মানে তো নানা রকমের বিপদ৷ মরচে ধরা, এবড়োখেবড়ো লোহার ঘষায় প্রতিদিন শরীরের অনেক জায়গা থেকে রক্ত বেরোয়৷ তারপরও ক্যারোলিনা কিচিনস্কা, ইয়োনা দ্রাইমালারা চুটিয়ে উপভোগ করেন পোল ড্যান্সিং৷ করবেনই তো, পথচারি, গাড়ির ড্রাইভার এমনকি ট্রাফিক পুলিশও যে ভীষণ উপভোগ করেন, হাত তালি দিয়ে উৎসাহও জোগান৷ কেউ কেউ অবশ্য একটা প্রশ্নও তুলে আনছেন সামনে৷ গাড়ি চালানোর সময় ড্রাইভারদের চোখ যেভাবে হঠাৎ পোল ড্যান্সারদের ওপর আটকে যায়, তাতে ভবিষ্যতে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়বেনা তো!
এসিবি/ডিজি (এএফপি)