1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উগ্র দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডব

১৬ আগস্ট ২০১৭

প্রবল চাপের মুখে সোমবার সরাসরি উগ্র দক্ষিণপন্থি ও নব্য-নাৎসিদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার তাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখালেন৷ বললেন, সব পক্ষই হিংসার জন্য দায়ী৷

https://p.dw.com/p/2iIdd
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Images/P.M. Monsivais

কু-ক্লাক্স-ক্ল্যান, নব্য নাৎসি ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যবাদী ‘হোয়াইট সুপ্রিম্যাসি' গোষ্ঠীগুলি শনিবার ভার্জিনিয়া রাজ্যের শার্লটসভিল শহরে যে হিংস্র তাণ্ডব চালিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে দলমতনির্বিশেষে গোটা দেশ যখন সরব খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নরম সুরে ‘উপস্থিত সব পক্ষ'-কেই হিংসালীলার জন্য দায়ী করেন৷

এই বক্তব্যের পর কু-ক্লাক্স-ক্ল্যান নেতা ডেভিড ডিউক সরাসরি প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান৷

দুই দিন পর প্রবল চাপের মুখে তিনি অনেকটা বাধ্য হয়ে সরাসরি নাম করে কু-ক্লাক্স-ক্ল্যান, নব্য নাৎসি ও ‘হোয়াইট সুপ্রিম্যাসি' গোষ্ঠীগুলির সমালোচনা করেন৷

কিন্তু তাঁর দুই দিনের নীরবতার কারণে লাগাতার সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে আবার তাঁর আগের বক্তব্যে ফিরে গিয়ে বলেন, ঘটনার সময়ে উগ্র দক্ষিণপন্থিরা ছাড়াও বামপন্থি গোষ্ঠীগুলিও সক্রিয় ছিল৷ দুই পক্ষই হিংসার আশ্রয় নিয়েছিল৷ তাই তিনি পক্ষপাত না করে সবার ঢালাও সমালোচনা করছেন৷

উল্লেখ্য, শনিবার শার্লটসভিল শহরে একাধিক উগ্র দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠীর সমাবেশে অনেকেই অস্ত্রশস্ত্র ও হেলমেট সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পালটা মিছিলেও অনেকে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত ছিল৷ এক উগ্র দক্ষিণপন্থি গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদকারীদের মিছিলে ধাক্কা মারে৷ ফলে এক নারী নিহত ও ১৯ জন আহত হয়৷ এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী নিহত হয়৷

এই ঘটনার জের ধরে বিরোধী ডেমোক্র্যাট ও ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের একাধিক নেতা উগ্র দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন৷ ‘নিরপেক্ষ' হতে গিয়ে ট্রাম্প আদতে সরাসরি সশস্ত্র উগ্র দক্ষিণপন্থিদের পক্ষ নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সেনেটে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার৷

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক টুইট-বার্তায় বলেন, ‘‘কেউ জন্ম থেকে ত্বকের রং, ধর্ম বা অন্য পরিচয়ের ভিত্তিতে অন্যদের ঘৃণা করতে শেখে না৷'' তাঁর এই বার্তা মঙ্গলবারের মধ্যে টুইটারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ‘লাইক' পেয়েছে৷

ট্রাম্প-এর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে একের পর এক সদস্য হোয়াইট হাউসের এক উপদেষ্টা গোষ্ঠী থেকে পদত্যাগ করছেন৷ শিল্প জগতের তিন সদস্য মার্কিন উৎপাদনকারী পরিষদ ত্যাগ করার পর শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাচার্ড ট্রামকাও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য