৬,৭০০ রোহিঙ্গা নিধন করেছে সেনাবাহিনী!
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, বাংলাদেশের শরণার্থী কেন্দ্রগুলোতে জরিপ চালিয়ে তারা জেনেছেন, ২৫শে আগস্ট থেকে ২৪শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬,৭০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে৷ এমএসএফ বলছে, তাদের জরিপ অনুযায়ী প্রতিদিন প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে আট জনের মৃত্যু হয়েছে এই হিসেবে ধরলে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৪২৪ থেকে ১৩ হাজার ৭৫৯ জনও হতে পারে৷ তবে এর মধ্যে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা৷ অথচ সেপ্টেম্বরে মিয়ানমার সরকারের তরফ থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল নিহতের সংখ্যা ৪০০৷
রাখাইনের এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের পুড়িয়ে, পিটিয়ে, ধর্ষণ-নিপীড়ন করে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এমএসএফ৷ নিহতদের মধ্যে এমন ৭৩০ জন শিশুও রয়েছে, যাদের বয়স পাঁচ বছরের কম৷ এই শিশুদের মধ্যে অন্তত ৬০ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ২৫শে আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৪৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে৷
জেনিভা ভিত্তিক এই দাতা গোষ্ঠী বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার শরণার্থী শিবিরগুলোতে গিয়ে ১১ হাজার ৪২৬ জন রোহিঙ্গার উপর ৬টি জরিপ চালিয়েছে৷ এমএসএফ এর মেডিকেল ডিরেক্টর ডক্টর সিডনি অং জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা আসলে কত সেটা সুর্নিদিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন৷ জরিপে সেই পরিবারের কথা ধরাই হয়নি, যাদের কোনো সদস্যই হয়ত বেঁচে নেই৷ অথবা এমন কোন পরিবার যারা স্বজনদের হারিয়ে মিয়ানমারেই রয়ে গেছে৷
সিডনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের সাথে কথা বলেছি৷ তারা আমাদের জানিয়েছে, তাদের পরিবারের কে কে মারা গেছে৷ বা তারা অনেককে দেখেছে গুরুতর আহত অবস্থায়, যাদের মৃত বলেই ধরে নিয়েছে তারা৷'' নিহতদের মধ্য ৬৯ ভাগকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷ ৯ ভাগকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং ৫ ভাগকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷
জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনকে ‘জাতিগত নিধন' হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে উল্লেখ করেছে৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)
প্রতিবেদনটি নিয়ে আপনাদের কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷