‘তেল মারা’ বক্তব্যের সমালোচনা
২২ ডিসেম্বর ২০১২বিএনপি'র সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করা স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, তেল মারার জন্য বিএনপি ও খালেদা জিয়া রাজনীতি করে না৷ তাঁরা কখনোই দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কোনো কাজ করেন নি৷ তাই তেল মারার প্রশ্নই ওঠে না৷ বরং যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরাই ক্ষমতায় থাকার জন্য তেল মারছেন, ভবিষ্যতেও মারবেন৷ শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজ উদ্দীন আহমেদ ও বিএনপি'র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলমকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শালীনতা বজায় রেখে কথা বলার আহ্বান জানান তরিকুল ইসলাম৷ খালেদা জিয়ার ভারত সফর প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার যশোরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়েছে৷ এসব বৈঠকে বাংলাদেশ যেন ভারতের কাছে সমমর্যাদা পায়, সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তা জানি না৷''
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘‘আমরা অপেক্ষায় আছি, পুলিশ ও প্রশাসন ধীরে ধীরে আর এই সরকারের নির্দেশ মানবে না৷ এ সরকারের সময় শেষ হয়ে এসেছে৷ লক্ষণ সে রকমই৷ একদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কোনোদিন জনগণ মানবে না৷ তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তাদের মানতেই হবে৷''
এদিকে, যারা যুদ্ধাপরাধী ও দুর্নীতিবাজদের বিচার বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে তাদের ৭১'র মতো আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী৷ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ আর প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশি ও আন্তর্জাতিকভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর যড়যন্ত্র শুরু হয়েছে৷ বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে থাকবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ তাই বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে মাঠে থাকার অনুরোধ করেন তিনি৷