আগাম তথ্য জানার উদ্যোগ
৯ নভেম্বর ২০১৩‘‘আমরা সারা দুনিয়াতেই সক্রিয়,'' বলেন হুব্যার্ট৷ অ্যাপ্লিকেশন নির্ভর কাজ হওয়ায় ব্যবহারকারীদের বিশেষ গুরুত্ব দেন তাঁরা৷ মিউনিখে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তাঁর কাছে ফোন আসে জর্ডান থেকে৷ দুর্যোগ সম্পর্কে সেখানে কর্মরত উদ্ধারকারী দলের হালনাগাদ তথ্য প্রয়োজন৷
জরুরি সাহায্যের জন্য বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করেন হুব্যার্ট৷ একটি দূর নিয়ন্ত্রিত স্যাটেলাইট প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে৷ স্যাটেলাইটে তোলা ছবিগুলো পরিস্থিতির ভয়াবহতা জানতে সহায়তা করে৷ বিশেষ করে কোন রাস্তায় এখনো চলাচল করা সম্ভব কিংবা কোন জায়গায় উদ্ধারকারীরা যেতে পারবেন না – তা জানা যায়৷ এসব জরুরি তথ্য জীবন বাঁচাতে সহায়ক হয়৷
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য দলগতভাবে বিশ্লেষণ করতে হয়৷ ক্রাইসিস ইনফরমেশন সেন্টারে হুব্যার্ট একটি অভিজ্ঞ দলের দায়িত্বে রয়েছেন৷ জরুরি অবস্থায় দলের প্রত্যেক সদস্যের আলাদা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে৷
হুব্যার্ট পুরো দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ঝুঁকি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন প্যারামিটার পর্যালোচনা করি৷ যেমন বিপদের মাত্রা কতটা? পুরো এলাকায় তার প্রভাব কেমন? দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, দুর্বলতা৷ সেখানে কি এমন কিছু আছে যা আক্রান্ত হতে পারে? যদি এমন কোন এলাকা হয় যেখানে কেউ থাকে না কিংবা কোনো ভবন বা কাঠামো নেই, তাহলে সেখানে ক্ষতি তেমন হয়না৷''
স্যাটেলাইট তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতা মিলিয়ে দেখতে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় যেতে চান হুব্যার্ট৷ মাঝেমাঝে তিনি প্রাপ্ত তথ্য যাচাইয়ের কাজে ঘটনাস্থলে চলে যান৷ হুব্যার্ট বলেন, ‘‘আমি পশ্চিম আফ্রিকা প্রকল্পে রয়েছি৷ গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ মাসে দু'সপ্তাহের জন্য বুরকিনা ফাসো গিয়েছিলাম৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি মূল্যায়ন নিঃসন্দেহে ভালো৷ এটা ছাড়া শুধু স্যাটেলাইট ছবির ভিত্তিতে একটি কাঠামো সম্পর্কে ধারণা করা কঠিন৷''
বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে সপ্তাহে সাতদিন চব্বিশ ঘণ্টাই মিউনিখের এই সেন্টারে ফোন আসে৷ তবে হুব্যার্ট এবং তাঁর দল ভবিষ্যতে শুধু ঘটনা ঘটার পর সহায়তায় আগ্রহী নয়৷ তাঁরা আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ শনাক্ত করে সে সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য অন্যদের জানাতে চাচ্ছেন৷ আর এভাবে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে দাবানল, বন্যা এবং ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ থেকে আরো দ্রুত রক্ষা করা সম্ভব হবে৷