প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক বানাচ্ছে বৌদ্ধমন্দির
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরে প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক তৈরি হচ্ছে৷ মন্দিরটি দুই বছর ধরে প্লাস্টিক থেকে ভিক্ষুদের পোশাকও তৈরি করছে৷
প্লাস্টিকের বোতল থেকে মাস্ক
থাইল্যান্ডের ব্যাংককের কাছে ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরের চামনানওয়েজ সুথিয়ানো পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল থেকে তৈরি মাস্ক পরে আছেন৷
কারণ করোনা
ওয়াত চাক দায়েং মন্দির বছর দুয়েক আগে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বোতল থেকে ভিক্ষুদের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করে৷ করোনার কারণে এখন মাস্কও তৈরি হচ্ছে সেখানে৷ পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই উপায় বের করেন মঠাধ্যক্ষ প্রাণম ধামালাঙ্কারো৷
মাস্কে মন্ত্র
একজন ভিক্ষু মাস্কে মন্ত্র লিখে দিচ্ছেন৷
১৫ টন প্লাস্টিক
পোশাক তৈরি করতে প্রত্যেক মাসে গড়ে ১৫ টন প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করা হয়৷ মন্দিরের আশেপাশে বাস করা অবসরপ্রাপ্ত মানুষ, গৃহিণীসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা এসব সংগ্রহ করে দেন৷ পোশাক বিক্রির অর্থ দিয়ে তাদের বেতন দেয়া হয়৷
আশীর্বাদ নিতেও প্লাস্টিক
আশীর্বাদপ্রার্থী অনুসারীরা সাধারণত মন্দিরে খাবার, পোশাক ইত্যাদি নিয়ে যান৷ ওয়াত চাক দায়েং বৌদ্ধমন্দিরে এছাড়াও অনুসারীরা প্লাস্টিকের ব্যাগ আর বোতল দিয়ে আসেন৷ ছবিতে একজন স্বেচ্ছাসেবীকে মাস্ক তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে৷
পাঁচ দেশের একটি
থাইল্যান্ড উপসাগরে প্লাস্টিকের বিপুল বর্জ্য রয়েছে৷ ২০১৭ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, সাগরে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য পাওয়া পাঁচ দেশের একটি হচ্ছে থাইল্যান্ড৷
বোতল দিয়ে তৈরি মন্দির
ওয়াত চাক দায়েং-ই থাইল্যান্ডের পরিবেশবান্ধব একমাত্র বৌদ্ধমন্দির নয়৷ ওয়াত পা মাহা শেদি ক্যাও মন্দিরটি তৈরি হয়েছে বোতল দিয়ে৷ থাইল্যান্ডের সিসাকেত রাজ্যে মন্দিরটি অবস্থিত৷ স্থানীয় ভিক্ষুরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ১৯৮৪ সালে বোতল দিয়ে মন্দির তৈরির কাজ শুরু করেন৷
বিয়ারের বোতল
সবুজ রংয়ের ‘হাইনেকেন’ বিয়ারের বোতল আর ‘চাঙ’ নামে বাদামি রংয়ের বিয়ারের বোতল দিয়ে মন্দিরটি তৈরি হয়েছে৷ আর বোতলের মুখ মোজাইক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷