ফরাসি নির্বাচনের প্রথম পর্বে জয়ের পথে দক্ষিণপন্থিরা
১ জুলাই ২০২৪নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী সপ্তাহান্তে। তার আগে বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ৫৭৭ আসনের ফরাসি পার্লামেন্টে মারিন লা পেনের আরএন দল ২৪০ থেকে ২৭০টি আসন পেতে পারে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট। আরএন-কে রুখতে বামপন্থি জোট এবং মাক্রোঁর মধ্যপন্থি দল একটি সমঝোতায় আসতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। মাক্রোঁ ইতিমধ্যেই রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্য়াটদের এমন একটি জোটের কথা বলেছেন। তবে জোটের ন্য়ূনতম শর্ত কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
মারিনের আরএন দল অতি দক্ষিণপন্থি বলেই পরিচিত। গত কয়েকবছরে তাদের শক্তি চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। ভোটের আগের সমীক্ষাগুলিতেই স্পষ্ট হয়ে গেছিল যে, তারা ভালো আসন পেতে চলেছে। প্রথম পর্বের ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষাও তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৭ জুলাই ভোটের পরবর্তী পর্ব। যাকে রান অফ রাউন্ড বলা হয়। সেদিনই চূড়ান্ত হবে, ফরাসি পার্লামেন্টের ভবিষ্য়ৎ।
ফরাসি পার্লামেন্টে ম্য়াজিক ফিগার ২৮৯। অর্থাৎ, যে দলের কাছে ২৮৯টি আসন থাকবে, তারাই সরকার গড়তে পারবে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় অতি দক্ষিণপন্থিরা বেশি আসন পেলেও ২৮৯ টি আসন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে তারা। ফলে আরএন-ও ভোট পরবর্তী জোটের পথে হাঁটছে। ছোট দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে জোট তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে তারা। রিপাবলিকান পার্টির সঙ্গেও তারা হাত মেলাতে পারে।
অন্যদিকে মাক্রোঁ বামপন্থিদের সঙ্গে জোটের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, প্রথম পর্বের পর যে ইঙ্গিত মিলছে, তা সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে দ্বিতীয় পর্বে। বামপন্থিদের ভোটের যে সংখ্যা দেখানো হচ্ছে, তাতে ভুল থাকার আশঙ্কা আছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফলে দ্বিতীয় পর্বের ভোটের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক নয় বলেই কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের বক্তব্য।
বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পরেই প্য়ারিসের রিপাবলিকান স্কোয়্য়ারে হাজার হাজার মানুষ নেমে পড়েন। অতি দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সংবাদসংস্থা এপি-কে এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, ফ্রান্স চরমপন্থার দিকে এগিয়ে চলেছে। তার বিরুদ্ধে পথেনেমেছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য়, দক্ষিণপন্থিদের হাতে ক্ষমতা চলে গেলে ফ্রান্সে বিভেদের রাজনীতি আরো বেশি গুরুত্ব পাবে। সাম্য়, মৈত্রী, স্বাধীনতার ধারণা বদলে যাবে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণপন্থিদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ে ওঠা অত্য়ন্ত জরুরি। বস্তুত, মাক্রোঁ এবং বামপন্থিরাও সেই একই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)