ফান গখের শিল্পকর্মে ডুব দেয়া
৮ মে ২০১৯দেখলে মনে হবে যেন ভিনসেন্ট ফান গখ আমাদের কিছু বলতে চাইছেন৷ সেখানে দর্শকরা দৃশ্যত ‘স্টারি নাইট'-এর মাঝে হেঁটে চলেছেন৷ ফান গখের ১৮৮৯ সালের সেরা শিল্পকর্ম ‘লা নুই এতোয়াল'-এর নামেই প্যারিসের ‘আটেলিয়ে দে লুমিয়ে'-য় আয়োজিত মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর নামকরণ করা হয়েছে৷
মিকায়েল কুজিগু সাবেক এক ধাতু কারখানার মধ্যে তৈরি এই ডিজিটাল কালচার সেন্টারের পরিচালক৷ কালচারাল এজেন্সি ‘কালচারাল স্পেস' ডাচ শিল্পীর শিল্পকর্মের মধ্যে দর্শকদের নিমজ্জিত করতে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছিল৷ তিনি বলেন,‘‘কালচারাল স্পেস এমিয়েক্স নামে একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে৷ এক্ষেত্রে ধারণাটি হচ্ছে শিল্পকর্মকে সংগীতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা৷ এভাবে একটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি তৈরি করা হয় যেখানে ফান গখের শিল্পকর্মকে এক অনন্য উপায়ে উপভোগ করা যায়৷''
এই কাজ করতে ১৪০টি ভিডিও প্রোজেক্টর ব্যবহার করে ৩,৩০০ বর্গ মিটার জুড়ে প্রজেকশনের জায়গা আলোকিত করা হয়েছে৷ এখানে পাঁচ হাজার পেইন্টিং এবং ড্রয়িং ত্রিমাত্রিক আকারে দশ মিটার উঁচু দেয়ালে বড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আলোকিত সেই বিশ্বকে আরো মধুময় করে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ সংগীত৷
কুজিগু বলেন, ‘‘ফান গখ এমন এক শিল্পী যিনি এমন ইমারসিভ এক্সিবিশন-এর জন্য একেবারে আদর্শ৷ বড় ফর্মাটের প্রদর্শনী হওয়ার তাঁর শিল্পকর্মের কাঠামো এখানে স্বচ্ছভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে৷ ফলে ভিনসেন্ট ফান গখের শিল্পকর্ম খুব নিঁখুতভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে৷''
ডিজিটাল প্রদর্শনীতে একেবারে আসল শিল্পকর্মটি প্রদর্শন করা হয় না৷ যার অর্থ হচ্ছে এভাবে একজন শিল্পীর সব শিল্পকর্মই একসঙ্গে একস্থানে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদর্শন করা যায়৷ আর তা এক নতুন ধরনের দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে৷ মিকায়েল কুজিগু বলেন, ‘‘এটা শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রতি মানুষের অধিকারকে গণতন্ত্রায়নের এক উপায়ও৷ আর এটা নিজেই এক সত্যিকারের শিল্পকর্মও৷ ডিজিটাল কাজ হলেও এটিও একটি শিল্পকর্ম৷''
ভিনসেন্ট ফান গখের শিল্পকর্মের এই প্রদর্শনী চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত চলবে৷ তাই সুযোগ থাকলে ঘুরে আসতে পারেন৷
ফিলিপ ক্রেচমার/এআই