ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অমানবিক পরিস্থিতি
১৯ নভেম্বর ২০০৮গাজা উপত্যকায় সীমিতভাবে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম আবারও শুরু করেছে জাতিসংঘ৷ তবে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল গাজা সীমান্ত খুলে না দিলে যে কোন সময় এ সাহায্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস গুনেজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, সোমবার আমরা যে খাবার নিয়ে এসেছিলাম খুব অল্প অল্প করে আমরা তা বিতরণ করছি৷ যে পরিমাণ খাবার আমাদের কাছে রয়েছে তা দিয়ে আর মাত্র কয়েকদিন চলবে৷
এদিকে জাতিসংঘের সহায়তা গাজা উপত্যকায় পৌছা মাত্র সেখানকার হাজার হাজার নারী পুরুষ সেখানে ছুটে যায়৷ সাহায্য নেয়ার জন্য রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে যায় সেখানকার দুঃস্থ মানুষগুলো মধ্যে৷ দু সপ্তাহের মধ্যে গত সোমবার প্রথম জাতিসংঘের সাহায্য সেখানে গিয়ে পৌছতে সক্ষম হয়৷ তবে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সে সহায়তা পৌছতে কমপক্ষে চারদিন দেরি হয়৷ জাতিসংঘের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে ইসরায়েলী সেনারা তাদের সাহায্য সামগ্রী তল্লাশির নামে অনেক প্যাকেট খুলে দেখেছে৷ এর ফলে অনেক গুঁড়ো দুধের প্যাকেট নষ্ট হয়ে গেছে যার মুল্য কয়েক লাখ ডলার৷ ইসরায়েলী সেনাদের এ কর্মকান্ডে ক্ষোভ জানিয়ে ক্রিস গুনেজ বলেন, আমি জানি না শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ রকেট শেলে ব্যবহৃত হয় কিনা৷
এদিকে মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েল আবার ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে৷ ইসরায়েলী সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লেরনার এ ব্যাপারে বলেছেন, দক্ষিণ ইসরায়েল এলাকায় রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এহুদ বারাক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ইসরায়েলী সেনা ও ফিলিস্তিনী হামাস সদস্যদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে৷ এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে৷
এদিকে গাজা উপত্যকার সীমানা বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না জাতিসংঘ৷ জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ন্যাভি পিলে কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে সেখানকার ১৫ লাখ ফিলিস্তিনী নারী পুরুষ ও শিশুকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হচ্ছে৷ এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক সাহায্য সংক্রান্ত আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন৷ ইসরায়েলকে অবিলম্বে অবরোধ সরিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ন্যাভি পিলে৷