1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ফিলিস্তিন

৩০ নভেম্বর ২০১২

সাধারণ সম্মেলনে বৃহস্পতিবারের ঐতিহাসিক ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সদস্য না হয়েও ‘‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’’ মর্যাদা পেল ফিলিস্তিন৷ এ’ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের প্রক্রিয়া তথা প্রতিক্রিয়া তাদের অবস্থান ও স্বার্থ অনুযায়ী৷

https://p.dw.com/p/16t4q
ছবি: AFP/Getty Images

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে সাধারণ সম্মেলনের প্রতি ‘‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তবতার জন্ম সনদ’’ জারি করতে বলেন৷ ১৯৩টি দেশের সাধারণ সম্মেলনে ১৩৮টি দেশ সেই ডাকে সাড়া দেয়৷ ন’টি দেশ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে৷ ৪১টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ক্যানাডা এবং চেক প্রজাতন্ত্র ছাড়া বাকি যে পাঁচটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে সেগুলি হল: মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পালাউ এবং পানামা৷ যে ৪১টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে, সেগুলির মধ্যে বিশেষভাবে নাম করতে হয় যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের৷

UN räumt Palestina Beobachterstatus ein
মাহমুদ আব্বাস তাঁর ভাষণে সাধারণ সম্মেলনের প্রতি ‘‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বাস্তবতার জন্ম সনদ’’ জারি করতে বলেনছবি: AFP/Getty Images

অর্থাৎ ফিলস্তিনকে কেন্দ্র করে বিশ্ব রাজনীতির বিভাজনরেখাগুলি এই একটি ভোটে পরিষ্কার হয়ে গেছে, এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের জাতীয় স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক মেলবন্ধন৷ চমক বলতে যদি কিছু থাকে, তবে তা হল ইউরোপীয় এবং পশ্চিমা শিল্পোন্নত দেশগুলির মধ্যে এতো বেশি সংখ্যক দেশের প্রস্তাবের সপক্ষে ভোট দেওয়া৷

বলতে কি, যে সব দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, তারাই এখন তাদের নীতি ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন সাধারণ সম্মেলনের ভোটকে ‘‘দুর্ভাগ্যজনক এবং হিতে-বিপরীত’’ বলে অভিহিত করলেও, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুজান রাইস অবিলম্বে শান্তি আলাপ-আলোচনা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ ব্রিটেন এ’ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রভাব প্রয়োগ করবে, বলে আশা প্রকাশ করেছে৷

জার্মান সরকারও ফিলিস্তিনের মর্যাদাবৃদ্ধিকে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ আলাপ-আলোচনার ‘‘আউফট্রাগ’’ বা কর্তব্যনির্দেশ বলে মনে করেন৷ ‘‘এই ভোটকে যথাশীঘ্র শান্তি আলাপ-আলোচনা শুরু করার অবকাশ বলে মনে করা উচিত,’’ বলেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷

Palästina Ramallah UN Hoffnung
ফিলিস্তিনের মর্যাদা বাড়লছবি: AP

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে এই ভোটের ব্যাপারে কোনো যৌথ অবস্থানে আসতে পারেনি, ভেস্টারভেলে সে’বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন৷ অপরদিকে তিনি যোগ করেন যে, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দায়িত্ব, এবং আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে একটি অস্তিত্বসক্ষম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য জার্মানির উদ্যোগের কোনো কমতি ঘটবে না৷

ইসরায়েল ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রস্তাবকে ‘‘অর্থহীন’’ এবং ‘‘হাস্যকর’’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে৷ কিন্তু স্বদেশে এ’নিয়ে ব্লেম-গেম শুরু হয়েছে: বিরোধীপক্ষ বলছে, সরকারের গড়িমসিই এই ‘‘সংকটের’’ জন্য দায়ি৷ অপরদিকে হামাস প্রধান খালেদ মেশাল বলেছেন, জাতিসংঘে মাহমুদ আব্বাসের পদক্ষেপ এবং গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সংঘাত, এ’দুটিকে একত্রে একটি একক, দুঃসাহসী স্ট্র্যাটেজি হিসেবে দেখা উচিত৷ ইরান জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের মর্যাদাবৃদ্ধিকে একটি ‘‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’’ হিসেবে অভিহিত করেছে৷ ভ্যাটিকানও একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পরোক্ষ স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জেরুসালেমের বিশেষ পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক গ্যারান্টির আহ্বান জানিয়েছে, যা ইসরায়েলে ঊষ্মা সৃষ্টি করতে বাধ্য৷

এসি/এসবি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য