দক্ষতা বাড়াতে প্রযুক্তি
২২ মার্চ ২০১৪টাইব্রেকারের সময় জার্মানির গোলরক্ষক ইয়েন্স লেমানের হাতে ছোট্ট একটা টুকরো কাগজ ধরিয়ে দিয়েছিলেন কোচ৷ সেই কাগজে আর্জেন্টিনার যেসব খেলোয়াড় পেনাল্টি শট নেবেন, তাঁদের ধরণ সম্পর্কে কিছুটা বর্ণনা ছিল৷ যেমন কোন খেলোয়াড় কোনদিকে বেশি শট নেন ইত্যাদি৷
হাতে এই তথ্যগুলো থাকার কারণে লেমান সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কোন খেলোয়াড়ের শট ঠেকানোর জন্য তিনি কীভাবে, কোনদিকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন৷ এতে তিনি দুটো শট ঠেকাতে সফল হয়েছিলেন৷ ফলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিল জার্মানি৷
এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, প্রতিপক্ষ দলের খেলার ধরণ ও তাদের খেলোয়াড় সম্পর্কে তথ্য জানাটা কত গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়া নিজ দলের খেলোয়াড়দের আগের খেলার বিশ্লেষণও ফুটবলারদের মান বাড়াতে সহায়তা করে৷ বর্তমান সময়ে কোনো দলের কোচের কাজই হলো এই বিশ্লেষণগুলো আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী দল পরিচালনা করা৷ জার্মান জাতীয় দলের ম্যানেজার অলিভার বিয়েরহোফ বলেন, ‘‘প্রশিক্ষণের সময় যে বিষয়টাতে বেশি সময় দেয়া হয় তা হলো খেলা বিশ্লেষণ৷''
এই বিশ্লেষণ করতে কোচদের চক হাতে বোর্ডে আঁকাআঁকি করতে দেখা যায়৷ তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে৷ ভবিষ্যতের কোচদের হাতে থাকবে ট্যাবলেট৷ সেটা দিয়েই তারা খেলোয়াড়দের খেলার কৌশল বুঝিয়ে দেবেন৷
জার্মান জাতীয় দল ইতিমধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে৷ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তারা প্রশিক্ষণ কাজে এসএপি কোম্পানির ‘হানা' নামক একটি ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করছে৷ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, হানা সফটওয়্যারটি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে সহায়তা করছে৷ এসএপি-র এই প্রযুক্তি ইতিমধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছে বুন্ডেসলিগার দল হোফেনহাইম৷
জার্মান জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ব্যবহারের জন্য একটি ‘অ্যাপ' তৈরি করে দিয়েছে এসএপি৷ এর মাধ্যমে ফুটবলাররা জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছেন৷
অন্যান্য খেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার
আইবিএম রাগবি খেলোয়াড়দের জন্য একই ধরণের প্রযুক্তি সরবরাহ করেছে৷ গলফ খেলোয়াড়রাও অনেকদিন ধরে প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, এপি)