ফুটবলের জাদুর ঘর
মস্কোর হুন্দাই মোটরস্টুডিয়োতে গেল ৮ জুন উদ্বোধন হলো এমন এক জাদুঘরের, যেখানে এক ছাদের তলায় আছে পুরো বিশ্বকাপের ইতিহাস৷ ফুটবলের কিংবদন্তিরা আছেন, আরো আছে স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্র, চলতি আসরের ৩২ দলের জার্সিসহ কত কী!
এক সঙ্গে ৩২ দল
মস্কোর ফিফা ফুটবল জাদুঘরে কাঁচবন্দী এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ৩২ দলের জার্সি৷ তাতে যে লাল রঙের আধিক্য, সেটি তো বোঝাই যাচ্ছে৷
সমর্থক যখন ‘তারকা’
সমর্থকদের প্রমাণসাইজের পোস্টার দেয়ালে সাঁটানো৷ যেখানে একাকার জার্মানি-ব্রাজিল-পর্তুগাল৷
যেখানে চোখ থাকে সবার
চলতি আসরের ৬৪ ম্যাচের ফলের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে জায়গা৷ শূন্যস্থানগুলো ভরে উঠছে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে৷
স্মরণীয় বল!
যেনতেন বল নয় এটি৷ বিশ্বকাপের রাশিয়া-সৌদি আরব উদ্বোধনী ম্যাচ হয়েছে এই ‘টেলস্টার ১৮’ দিয়ে৷ স্বাগতিকদের জন্য যে এটি পয়া, ৫-০ ব্যবধানের জয়ই সে ঘোষণা দিচ্ছে৷
পোস্টারে চোখ
২১ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল পোস্টার ঝুলছে দেয়ালে৷ জাদুঘরে আসা দর্শনাথর্থীরা ইতিহাসকে মোবাইলবন্দী করার সুযোগ হাতছাড়া করেন কীভাবে!
ইতিহাস পরিক্রমা
ফুটবলের মতোই গোলাকৃতির এক প্রজেক্টরে বিশ্বকাপের ইতিহাসের ভিডিও দেখানো হচ্ছে অবিরাম৷ সাদা-কালো সময় থেকে টুর্নামেন্টের রঙিন সময়ে বিবর্তনের ধারা বর্ণনা সেখানে৷
বিশ্বকাপ বলের আদ্যন্ত
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলের বিবর্তনও কি হয়নি! ১৯৩০ থেকে শুরু করে ২১ বিশ্বকাপের বল দেখলে তা বোঝা যায় স্পষ্ট৷ দেয়ালের গায়ে তারকারাশির মতো আলো ছড়াচ্ছে সে বলগুলো৷
রংধনুর উজ্জ্বলতা
আরো পোস্টার, আরো সমর্থক, আরো রং৷ বিশ্বকাপ রংধনুর উজ্জ্বলতা বেড়ে যায় সমর্থনের এই বৈচিত্র্যেই৷
তারকার অটোগ্রাফ
ফিফা জাদুঘরে এসেছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি রবের্তো কার্লোস৷ সর্বকালের অন্যতম সেরা এই উইংব্যাকের অটোগ্রাফ সংরক্ষিত আছে সেখানে৷
পোস্টারে ইতিহাস
একেকটি পোস্টার যেন বলছে একেক বিশ্বকাপের গল্প৷ আনন্দ-বেদনার কত মহাকাব্য লুকিয়ে এ পোস্টারগুলোয়!
পেলে-মারাদোনা
সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্কটা তাঁদের মধ্যেই সীমিত – পেলে ও দিয়েগো মারাদোনা৷ ফিফা ফুটবল জাদুঘরে তাঁদের উপস্থিতি না থাকলে চলে!
লেভ ইয়াসিনের পাশে
সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার সর্বকালের সেরা ফুটবলার লেভ ইয়াসিন৷ তাঁর সঙ্গে ছবি তো প্রেরণা হয়ে থাকবে এই কিশোরের জন্য৷
স্মৃতির বোর্ডে
মাঝে রবের্তো কালোসের অটোগ্রাফ৷ চারপাশে দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাসের প্রকাশ৷ ব্ল্যাকবোর্ডে চকের সেই আঁক মুছে ফেলা হয় নিয়মিত বিরতিতে; কিন্তু স্মৃতির বোর্ডে তা খোদাই হয়ে থাকবে চিরকাল৷
বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ
ছিমছাম, পরিপাটি দোতলা এই ফিফা ফুটবল জাদুঘর৷ বিশ্বকাপ দেখতে মস্কোতে আসা সমর্থকদের অবশ্য দর্শনীয় স্থান হয়ে গেছে এটি৷