ফেলানীর হত্যাকারী ‘নির্দোষ’
৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ফেলানী হত্যা নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে৷ এ সংক্রান্ত মামলার বিচার কিছুদিন আগে শুরু হয় বিএসএফ-এর বিশেষ আদালতে৷ শুক্রবার আদালতের রায় প্রকাশের পর আমার ব্লগে লিপি হালদার লিখেছেন, ‘‘ফেলানী হত্যার অভিযুক্তদের মুক্তি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাই৷''
এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘ভারতের আদালত ফেলানীর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত বিএসএফ-এর সেই সদস্যকে (অমীয় ঘোষ) বেকসুর খালাস দিয়েছেন৷ আমি এই রায় মানিনা৷ এবং আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সুবিচার নিশ্চিত করবেন৷''
বিএসএফ এর রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে অনেক প্রশ্ন রেখেছেন রিংকু সি. বিশ্বাস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিএসএফ বলে বেকসুর খালাস?? তাহলে ফেলানীকে মারলো কে? প্রিয় ভারত৷ আমাদের পা-চাটা, তোষণ করার রাজনীতি'র জন্যে, এনাদের এই অবস্থা!!''
আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আসিফুজ্জামান পৃথিল লিখেছেন, ‘‘কী দরকার ছিল আমাদের অপমান করার, কিইবা দরকার ছিল ফেলানী হত্যার বিচার করার৷ ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমীয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিলো ট্রাইব্যুনাল৷ দরকার তো ছিল না বিচারের নামে এ প্রহসনের...৷'' #ফেলানী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে এসব মন্তব্য করা হয়েছে৷
এছাড়া সাংবাদিক আশরাফ হোসেনের ফেসবুক মন্তব্য হচ্ছে, ‘‘নোবডি কিল্ড ফেলানী!'' আব্দুল্লাহ আল-শাফি নামক আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী এ সংক্রান্ত এক সংবাদ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘আহারে বেচারী.... ফেলানী কি আসলেই মারা গেছে?''
ব্লগার আরিফ জেবতিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি কভার ফটো যোগ করেছেন৷ এতে লেখা রয়েছে, ‘‘একদিন এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলব / পেটের দায়ে আমার বোন দেশান্তরী হবে না... / বিএসএফ এর গুলিতে ঝাঁজরা আমার বোন ঝুলে থাকবে না / কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেদিন আমরা তোদেরকেই আটকে দেব...৷''
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘২০১১ সালের ০৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে পঞ্চদশী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক জওয়ান৷ দেশে বিয়ে ঠিক হওয়ায় বাবার সঙ্গে ফেরার পথে সীমান্ত পার হওয়ার সময় কাঁটাতারের বেড়ায় কাপড় আটকে যায় ফেলানীর৷ এতে ভয়ে সে চিৎকার দিলে বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন