1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রান্সে বাড়ছে দক্ষিণপন্থি সমর্থন

১৭ জানুয়ারি ২০২০

গোটা বিশ্বের মতো ফ্রান্সেও বাড়ছে দক্ষিণপন্থিদের সমর্থন। দক্ষিণপন্থি নেত্রী ঘোষণা করে দিলেন ২০২২ সালের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

https://p.dw.com/p/3WKum
ছবি: Getty Images/AFP/B. Guay

বিশ্ব জুড়ে অতি দক্ষিণপন্থি শক্তি ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যেই সরকার গঠন করে ফেলেছে দক্ষিণপন্থি দল। জার্মানিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অতি দক্ষিণপন্থি এএফডি-র জনপ্রিয়তা। তারই মধ্যে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে অংশগ্রহণের কথা জানিয়ে দিলেন অতি দক্ষিণপন্থি নেত্রী মারিন ল্য পেন।

এই প্রথম নয়, এর আগেও দু'বার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোটে লড়াই করেছেন পেন। কিন্তু কখনওই জিততে পারেননি। বৃহস্পতিবার নিজেই টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের জন্য লড়াইয়ে অংশ নেবেন তিনি।

২০২২ সালে ফ্রান্সে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পেন জানিয়েছেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর বিরুদ্ধে একটি মহাজোট তৈরি করে লড়াই করবেন তিনি। যার ফলে দেশ আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে এবং জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী হবে।

২০১৭ সালে বিপুল ভোট পেয়ে মাঁক্রো ক্ষমতায় এলেও এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অসন্তোষ। ধর্মঘট, আন্দোলনে জেরবার শাসক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশ জুড়ে মাক্রোঁর জনপ্রিয়তা ক্রমশ কমছে। এমন পরিস্থিতিতে পেন নিজের জায়গা তৈরি করতে পারবেন কি না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ২০১৭ সালের নির্বাচনে শেষবার লড়াই করেছিলেন পেন। কিন্তু মধ্যপন্থি মাক্রোঁর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। অভিবাসন, উদ্বাস্তু এবং অনুপ্রবেশকারী নিয়ে স্পষ্ট মত আছে পেনের। তিনি ফ্রান্সকে অভিবাসী মুক্ত করতে চান। ২০১৭ সালের নির্বাচনে এই কথাটাই দিকে দিকে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ফ্রান্সের মানুষ তাঁর অভিমতকে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পেনের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। ফলে ২০২২ সালে কী ঘটবে, তা নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আরও একটি কাজ শুরু করে দিয়েছেন পেন। মধ্যপন্থি কিন্তু মাক্রোঁ বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁদের নিয়েই মহাজোটের পরিকল্পনা তাঁর।

এসজি/জিএইচ (এপি, লে মন্ডে)