জাতীয় শোক দিবস
১৫ আগস্ট ২০১২১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট৷ ঐ দিন ভোর রাতে ঘতকরা সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে৷ এমনকি তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও তারা রেহাই দেয়নি৷ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সেই কাল রাতের সাক্ষী বঙ্গবন্ধুর আবাসিক সহকারী মোহিতুল ইসলাম৷ আজও সেদিনের সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা তিনি ভুলতে পারেন নি৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৭তম শাহাদত বার্ষিকীতে সবার উপলব্ধি যে তাঁকে হত্যার মধ্যে দিয়ে বঙালি জাতিকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে৷ স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হয়েছে৷ যেমন বললেন শিল্পী ফকির আলমগির আর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যারন ড. মিজানুর রহমান৷
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সব শ্রেণির মানুষ তাই একটাই দাবি তুলেছেন৷ সবার দাবি, বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় ঘাতককে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক৷
সাধারণ মানুষের এই দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম৷ তিনি বলেন, পাঁচ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে ইতিমধ্যে৷ আর বাকি ছয় জনও রেহাই পাবেনা৷
১৫ই আগস্টের সেই রাতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান৷ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী৷ ভোরে জাতীয় শোক দিবসে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন৷ এরপর তিনি যান টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে৷
জাতি আজ শ্রদ্ধা ভালোবাসা আর গভীর কষ্ট বুকে নিয়ে পালন করছে জাতির জনকের শাহাদত বার্ষিকী৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ