বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে বাজিমাত পশ্চিমবঙ্গে
১ আগস্ট ২০১১বইমেলার কর্ণধারদের একজন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়৷ কলকাতা বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের কর্তাদেরও একজন তিনি৷ ফলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায় নতুন এই পুরস্কার বিষয়ে৷
পুরস্কার ব্যাপারটা হল কেমন
ত্রিদিব বললেন, দারুণ ব্যাপার৷ তাবড় বর্ষীয়ান এবং সম্মানিত শিল্পীদের এই অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া, সে এক মস্তবড় বিষয়৷ অন্যান্য বহু প্রদেশেই রয়েছে এ ধরণের সম্মাননার ব্যবস্থা৷ এই তো যেমন মধ্যপ্রদেশে, বা মহারাষ্ট্রে৷ বাংলারই তেমন কিছু আলাদা ছিলনা৷ তাকিয়ে থাকতে হত কবে দিল্লির টনক নড়বে আর পদ্মভূষণ বা পদ্মবিভূষণের শিকে ছিঁড়বে৷ তার জন্যই মমতা ব্যানার্জী সরকারের এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হয়েছে৷
এ নিয়ে কোনরকম রাজনীতি
একেবারেই নয়৷ বলছেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়৷ বাঙালির চিরদিনের প্রিয় শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় কিংবা মান্না দে বা একদা কলকাতার ময়দান কাঁপানো ফুটবলার শৈলেন মান্না, কিংবা দুনিয়াখ্যাত সরোদশিল্পী আমজাদ আলি খান, যাঁরা পুরস্কৃত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কী বা সম্পর্ক রাজনীতির? নিজ নিজ গুনে তাঁরা মহৎ৷ বাঙালি তাঁদের প্রতিভার কাছে প্রণত৷ তাই এই সম্মান৷
ক্ষমতাবদলের পর শিল্পমহলে রাজনৈতিক মেরুকরণ নাকি!
তা কিন্তু চোখে পড়ছে৷ বলছেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়৷ বলছেন, এই সময়টা একটু ঘূর্ণি হাওয়ার মত অবস্থা৷ নতুন সরকার মাত্র দুইমাসের একটু বেশি হয় ক্ষমতায়৷ এরই মধ্যে সবকিছু বুঝতেও তো সময় লাগে৷ সেই সময়টা পার হোক, একটু হাওয়া থিতিয়ে যাক, সবকিছু স্পষ্ট করে তখন বোঝা যাবে৷ এখনই নয়৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : আবদুল্লাহ আল ফারূক