গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমেছে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮এই তালিকায় আছে বার্লিন, লন্ডন, লস এঞ্জেলেস, নিউ ইয়র্ক এবং প্যারিসের নাম৷ পাঁচ বছর আগের তুলনায় এখন নিঃসরণের হার অন্তত ১০ শতাংশ কম৷ বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোতে এক জলবায়ু সম্মেলনে দেশগুলো এ পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে৷
জীবাশ্ম-জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো এবং গণপরিবহনের আওতা বাড়ানোতেই এই মাইলফলক অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্বের বড় শহরগুলোর জোট সি-৪০-এর নেতারা৷ প্যারিসের মেয়র আনে হিডালগো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভালো কোনো খবর দিতে পারা’ খুব আনন্দের ব্যাপার৷
গ্যাস নিঃসরণ কমলেও এর ফলে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে না৷ ফলে হিডালগো মনে করেন, ‘‘আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি পরিবেশের ক্ষতি না করেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং উন্নয়ন সম্ভব৷’’
শূন্যস্থান পূরণ
বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে সান ফ্রান্সিসকোর এই সম্মেলনে যোগ দেন কয়েক হাজার রাজনীতিবিদ, জলবায়ু অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্যবসায়ী নেতারা৷
২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণে সচেষ্ট তারা৷ সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের তালিকায় চীনের পরই আছে যুক্তরাষ্ট্রের নাম৷
প্যারিস চুক্তি অনুসারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয় দেশগুলো৷ কিন্তু বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শিগগিরই হয়তো বৈশ্বিক উষ্ণতা এ লক্ষ্য অতিক্রম করতে পারে৷
অনুপস্থিত উন্নয়নশীল দেশগুলো
তবে বড় শহরগুলোর সাফল্যে এখনই খুশি হওয়ার মতো কিছু দেখছেন না বিশ্লেষকরা৷ তাঁরা বলছেন, যে ২৭টি শহর নিঃসরণ কমানোর দাবি করছে, সেসব শহর মিলিয়ে বাস করেন মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ৷ উন্নয়নশীল কোনো দেশের কোনো শহরই এই তালিকায় নেই৷
সি-৪০ নেতারাও এই দুর্বলতা বিষয়ে অবগত আছেন৷ হিডালগো বলোন, ‘‘উন্নয়নশীল শহরগুলোসহ যেসব জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে পরিবেশ ও জ্বালানি নিরাপত্তা প্রয়োজন, সেদিকে আমাদের সবার আগে নজর দিতে হবে৷’’
উন্নত দেশগুলোর সাফল্য সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞদের আশংকা, অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলিতে আগামী বছরগুলোতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেড়েই চলবে৷
এডিকে/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)