ফিল কলিন্স
৩১ জানুয়ারি ২০১৩চার দশকেরও বেশি সময় ধরে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, বাদক ও গায়ক ফিল কলিন্স বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন৷ পেয়ে আসছেন প্রতিষ্ঠা৷ অসংখ্য মুগ্ধ অনুরাগীদের উপহার দিয়ে আসছেন তাঁর সুদক্ষ ও সৃজনশীল সংগীত৷
একজন দক্ষ ড্রামস বাদক ছাড়াও একাধিক বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী কলিন্স, সত্তরের শুরুতে বিখ্যাত সংগীত শিল্পী পিটার গ্যাব্রিয়েল-এর নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ রক সংগীত গোষ্ঠী ‘জেনেসিস'-এর ড্রামার ও নেপথ্য গায়ক হিসেবে সুরের ভুবনে তাঁর সফল জয়যাত্রা৷
ফিলিপ ডেভিড চার্লস কলিন্স-এর জন্ম ১৯৫১ সালে, লন্ডনে৷ পাঁচ বছর বয়সে তিনি উপহার পান একটি খেলনা ড্রাম-সেট এবং সেই থেকেই এই বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি৷ কিছুকাল পর বাবা-মা তাঁকে কিনে দেন একটি পেশাদার ড্রাম-সেট৷ টেলিভিশন ও রেডিওতে সংগীতানুষ্ঠান শুনে শুনেই ড্রামস বাদনে তাঁর স্বশিক্ষা৷
স্কুলে নাট্যাভিনয়ে মেধার পরিচয় দিলেও সংগীতের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন কলিন্স এবং গঠন করেন ‘রিয়েল থিং' বাদক দল৷ ৬৯ সালে প্রথম পেশাদার ড্রাম বাদক হিসেবে তিনি যোগ দেন ‘ফ্লেমিং ইয়থ' গোষ্ঠীতে৷ ১৯৭০ সালে বিখ্যাত রক সংগীত গোষ্ঠী ‘জেনেসিস'-এ যোগ দেয়ার সুযোগ পান তিনি৷ এরপর ১৯৭৫ সালে পিটার গ্যাব্রিয়েল এই গোষ্ঠি ছেড়ে গেলে কলিন্স গীতিকার, সুরকার, বাদক ও প্রধান গায়ক হিসেবে ‘জেনেসিস'-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন৷
‘জেনেসিস'-এর কর্ণধার ও একক সংগীত শিল্পী হিসেবে তিনি পেয়েছেন অসাধারণ সাফল্য৷ ২৫ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷ ২০১০ সালে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম'-এ অভিষিক্ত হয়েছেন তিনি৷ চলচ্চিত্র সংগীত রচনায়ও পেয়েছেন সমান সমাদর৷ একবার অস্কার, দু'বার গোল্ডেন গ্লোব, সাতবার গ্র্যামি, পাঁচবার ব্রিট সহ আরো বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন রক-পপ অঙ্গনের অন্যতম সেরা সংগীত শিল্পী ফিল কলিন্স৷