বব মার্লি
১০ মে ২০১২বব মার্লি তাঁর ‘দ্য ওয়েলার্স' সংগীত গোষ্ঠি নিয়ে জয় করেছিলেন সাফল্য ও জনপ্রিয়তা৷ ক্যারিবিয়ান দ্বীপ জামাইকা'র রেগে সংগীতকে বিশ্ব দরবারে সাফল্যের সাথে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি৷
গীতিকার, সুরকার, গিটারবাদক ও গায়ক ব়েগে সম্রাট বব মার্লিকে বলা হয় জামাইকার বিবেকি কণ্ঠস্বর৷ শুধু জামাইকাই নয়, বিশ্বব্যাপী বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষে তিনি ছিলেন এক জোরালো কণ্ঠস্বর৷
বব মার্লির জন্ম ১৯৪৫ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি জামাইকায়৷ বাবা ছিলেন ব্রিটিশ এবং মা কৃষ্ণাঙ্গ জামাইকান৷ ১৪ বছর বছর বয়সে তাঁর এলাকার কিছু শিল্পীর সাথে সংগীত চর্চা শুরু করেন তিনি৷ ১৯৬৩ সালে বানি লিভিংস্টন, পেটার টোশ ও আরো কিছু শিল্পীকে নিয়ে গঠন করেন ‘দ্য ওয়েলার্স' সংগীত গোষ্ঠি৷ আর সেই থেকেই গীতিকার, সুরকার ও গায়ক হিসেবে শুরু হয় তাঁর সংগীত জীবন৷ ৬০'এর দশকের শেষার্ধে জামাইকার ঐতিহ্যবাহী ‘স্কা', রকস্টেডি এবং আফ্রিকান রিদমে প্রভাবিত লোকসংগীতের নিপুণ মিশ্রণে উজ্জ্বল এক নতুন আঙ্গিকের সংগীত ‘রেগে' মুগ্ধ করে অসংখ্য অনুরাগীদের৷ ‘দ্য ওয়েলার্স'-এর সাথে ৭৩ সালে ‘ক্যাচ অ্যা ফায়ার' এবং পরের বছর ‘বার্নিন' অ্যালবাম তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷ তারপর থেকেই শুরু হয় তাঁর বিশ্বব্যাপী একের পর এক কনসার্ট৷
জামাইকার ‘রাস্তাফারি' ধর্মে বিশ্বাসী বব মার্লির ভালোবাসা আর সেই সাথে রাজনীতি ও সমাজ সম্পৃক্ত সংগীত আজও আকর্ষণ করে বিশ্বের অসংখ্য অনুরাগীদের৷ স্বল্পস্থায়ী জীবনের অল্প সময়ে সংগীত জগতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন তিনি৷ ১৯৮১ সালের ১১ই মে, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ব়েগে সংগীতের পথপ্রদর্শক বব মার্লি৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ