1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাঁধের উচ্চতা বাড়াতেই হবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে

২৯ এপ্রিল ২০১২

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪০০০ কিলোমিটারে ভেরি বাঁধ বা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে৷ পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেই স্বীকার করছে বড় ধরণের জলোচ্ছ্বাসে এই বাঁধ টিকে থাকবেনা৷ আর বাঁধের উচ্চতাও বাড়ানো প্রয়োজন৷

https://p.dw.com/p/14mWJ
ছবি: DW

বাংলাদেশের দক্ষিণের বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী খ্যাতা চিড়া ভেরি বাঁধটি ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর মেরামত করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা আবার ভেঙ্গে গেছে৷ এনিয়ে ঐ এলাকার মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ৷ আসছে বর্ষাকালে তারা যে কিভাবে টিঁকে থাকবেন তা তারা জানেন না৷

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুয়ায়ী দেশের উপকুলের জেলাগুলোতে সিডর ও আয়লার আঘাতে ৬০৩ কিলোমিটার ভেরি বাঁধ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে৷ আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩৫০০ কি.মি ভেরি বাঁধের৷ বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ভেরি বাঁধ ঠিকমত মেরামত করা হয়নি৷

Flut in Süd Asien 2007
বন্যা নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে ফি বছরছবি: AP

তাঁর কথার সঙ্গে অনেকটাই একমত পানি উন্নয়ন বোর্ড৷ বোর্ডের মহাপরিচালক কে এ এম শহিদুজ্জামান ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরা কোনমতে এসব বাঁধ মেরামত করেছেন ৷ বড় জলোচ্ছ্বাসে এগুলো টিঁকবে না৷ তিনি জানান ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ক্ষতি হয়েছে ১৩০০ কোটি টাকার৷ আর মেরামতের জন্য তাঁরা খরচ করেছেন মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা৷

ড. আতিক রহমান জানান, ষাটের দশকে নির্মিত এসব বাঁধ এমনিতেই অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ আর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাগরে পানির উচ্চতা এবং জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে গেছে৷ তাই বাঁধের উচ্চতাও বাড়াতে হবে৷ পানি উন্নয়ন বোর্ডও মনে করে বাঁধের উচ্চতা বাড়ানো ছাড়া কোন উপায় নেই৷

উপকুলীয় এলাকায় মোট ভেরি বাঁধ সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার৷ আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে তার ৪০০০ কিলোমিটারই ঝুঁকির মুখে৷ তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই উপকুলের ১০ জেলার মানুষকে রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ডয়চে ভেলে, ঢাকা

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য