বাংলাদেশের খাদ্য পরিস্থিতির হালহকিকত
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন দুই লাখ টন কমতে পারে৷ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাবারের জন্য বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের বাহ্যিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে৷
খাদ্যশস্য উৎপাদন কিছুটা কমবে
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে ছয় কোটি ২৬ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিল৷ ২০২২ সালে উৎপাদন দুই লাখ টন কমতে পারে৷ তবে তা গত পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের (পাঁচ কোটি ৯৭ লাখ টন) তুলনায় প্রায় ২৭ লাখ টন বেশি৷
ধান উৎপাদন চার লাখ টন কমবে
২০২১ সালে পাঁচ কোটি ৬৮ লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছিল৷ এবছর উৎপাদন চার লাখ টন কম হতে পারে৷ তবে তা পাঁচ বছরের গড় উৎপাদনের (পাঁচ কোটি ৪৯ লাখ টন) তুলনায় ১৫ লাখ টন বেশি৷
খাদ্যশস্যের সরকারি মজুদের পরিমাণ
খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন চাল মজুদ ছিল৷ গম মজুদ ছিল এক লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ মেট্রিক টন৷
পাঁচ দশকের খাদ্যশস্য উৎপাদনের চিত্র
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেবে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এক কোটি ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৩৭ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছিল৷ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছয় কোটি ২৪ লাখ টন হওয়ার অর্থ গত ৫০ বছরে উৎপাদন চার গুনের বেশি বেড়েছে৷
৪৫টি দেশের সহায়তা প্রয়োজন
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রকাশিত ‘ক্রপ প্রোসপেক্টস অ্যাণ্ড ফুড সিচুয়েশন’ প্রতিবেদনে বলা হয়, খাবারের জন্য বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশের বাহ্যিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে৷ এর মধ্যে ৩৩টি দেশ আফ্রিকার৷ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশসহ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে৷
বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতিসংঘের বক্তব্য
একই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে মানুষের আয় কমে যাওয়ায় দেশটিতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও দারিদ্য বেড়েছে৷ এছাড়া মে মাসে বন্যায় প্রায় ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল৷ বন্যার কারণে কৃষি অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, গবাদি পশু ও খাবার জোগান কমে গেছে৷