বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যবহারিক দিক বাড়াতে হবে: ড. মজুমদার
১০ নভেম্বর ২০১১ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি করে ১৯৭৭ সালে জার্মানিতে আসেন ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ মজুমদার৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা এবং সেমি-কন্ডাক্টর লেজার বিষয়ে গবেষণার কাজ করেছেন৷ কীভাবে ব্লু-লেজার সস্তা এবং আরো শক্তিশালী করে তোলা যায় সে বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করেন তিনি৷ এরপর যুক্তরাজ্যে পোস্ট-ডক্টরেট গবেষণার কাজ করেছেন৷ পরে আবারো জার্মানি ফিরে কাইজার্স লাউটার্ন এবং কার্লসরুয়ে শহরে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন৷ বর্তমানে ফ্রাঙ্কফুর্টে সফটওয়ার প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷
ডয়চে ভেলের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের গবেষণা কর্ম সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমি সফটওয়ারের যে কাজ করছি সেটা হচ্ছে, সফটওয়ার ভিত্তিক প্রশিক্ষণ যেমন বিশেষ করে বিমানের সিমিউলেটর কিংবা লেখাপড়ার ব্যাপারেও বেশ কাজে লাগতে পারে৷ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এটা বিশেষভাবে প্রযোজ্য হতে পারে এভাবে যে, ঢাকায় একটি সার্ভারে আমরা যদি গণিত, পদার্থ, রসায়ন এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার গবেষণা কর্ম এবং পরীক্ষা, নিরীক্ষা, তত্ত্ব জমা করে রাখি এবং সারাদেশের স্কুল-কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা চালাতে পারে ও কাজ করতে পারে - এমন ব্যবস্থা নিয়েই আমি কাজ করেছি জার্মান প্রতিষ্ঠানের জন্য৷''
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, ‘‘আমরা বাংলাদেশে বই মুখস্থ করে লেখাপড়া করি, ব্যবহারিক দিকটার বেশ অভাব৷ কিন্তু জার্মানিতে ছাত্র-ছাত্রীদের গণিতের বিভিন্ন শাখা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি বিষয়ের প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক দিকের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে লেখাপড়া করানো হয়৷'' জার্মান জাতির অগ্রগতি ও উন্নয়নের পেছনে কারণ হিসেবে তিনি তাদের সততা, সত্যবাদিতা, কর্মনিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন৷ কোন কিছুই ত্রুটিপূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে করে না জার্মানরা বরং প্রতিটি জিনিস নিখুঁতভাবে এবং প্রতিটি কাজ পুরোপুরি সফলভাবে সম্পন্ন করে বলে জানান ড. মজুমদার৷
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের জন্য তাঁর পরামর্শ, ‘‘জার্মানিতে লেখাপড়া ও কাজের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে৷ তবে সেক্ষেত্রে ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে৷'' কিন্তু শুধুমাত্র যারা প্রকৃত অর্থেই লেখাপড়া করতে চায় তাদেরই এখানে পড়তে আসা উচিত বলে মনে করেন ড. মজুমদার৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ