‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চমৎকার'': ডা.দীপু মনি
৩০ আগস্ট ২০১০পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমাদের রপ্তানির একটা বড় গন্তব্যস্থল জার্মানি এবং একই সঙ্গে জার্মানি আমাদের উন্নয়ন সহযোগিও৷ আমরা নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্রেও চিহ্নিত করতে পারি৷''
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করো, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়
‘‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় দিক, একটি বড় সাফল্য হিসেবেও আমি চিহ্নিত করবো সেটি হলো, আমাদের পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে, যেখানে কিছুদিন আগে পর্যন্তও বৈরিতার পরিবেশ ছিল, যেখানে অসহযোগিতার পরিবেশ ছিল, অসহিষ্ণুতার পরিবেশ ছিল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সেই পরিবেশ থেকে বের হয়ে এসে আজ আমরা বন্ধুত্ব,সৌহার্দ, সহযোগিতার একটি পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছি এবং তার মাধ্যমে পুরো অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা – এই দুটোই নিয়ে আসবার একটি বড় পথ তৈরি হয়েছে৷'' পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউরোপের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহু দিনকার, এবং সেই সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বের সৌহার্দ্যের৷'' তিনি বলেন, ‘‘শুধু বন্ধুত্ব নয়, ইউরোপ আমাদের উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য সহযোগি৷''
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব দিক নিয়েই আলাপ হবে
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলের সঙ্গে ১লা সেপ্টেম্বর বৈঠকের প্রাক্কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন, ‘‘জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের এই বহুমাত্রিক সম্পর্ককে আরো কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটি নিয়ে আলোচনা নিশ্চয় হবে এবং সম্পর্কের মধ্যে আরো কী কী নতুন দ্বার উন্মোচন করা যায়, নিশ্চয় সে ব্যাপারেও আমরা আলোচনা করবো৷'' প্রবাসী সব বাঙালিকে শুভেচ্ছা জানান তিনি৷
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেল সোয়া তিনটায় ডয়চে ভেলেতে পৌঁছান৷ মহাপরিচালক এরিক বেটারমান, দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান গ্রেহেম লুকাস সহ ডয়চে ভেলের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়৷ তিনি বাংলা বিভাগের কর্মীদের সঙ্গেও আলাপ করেন৷
সাক্ষাৎকার: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন