স্বাস্থ্য সেবা
৭ এপ্রিল ২০১২এজন্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আইন, বললেন বিশ্লেষকরা৷
সাধারণ মানুষের যাদের একটু সামর্থ আছে তারা চিকিৎসা সেবা নিতে ছোটেন বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে৷ এমনকি গ্রামের মানুষও ভাল চিকিৎসার খোঁজে ছুটে আসেন ঢাকায়৷ তাদের কথা গ্রামে ভালো ডাক্তার নেই, নেই চিকিৎসা সেবা৷ তাই রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে যেমন ভিড়, তেমনি বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালেও রোগীদের লম্বা লাইন৷
সরকারি চিকিৎসকরাও গ্রামে থাকতে চান না৷ তাদের উপজেলা পর্যায়ে পোস্টিং দেয়া হলে হয় তারা যান না, না হয় তারা ছুটি নিয়ে ঢাকায় থাকেন৷ এর পিছনে তারা নানা যুক্তিও দেখান৷ তাদের কথা গ্রামে সুযোগ সুবিধা নেই৷ সন্তানদের পড়াশোনা করানোর ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই৷
বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৫শ'৷ তবে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে এই সংখ্যা বেশি ৪ হাজার ২শ'৷ প্রতি ৩ হাজার রোগীর জন্য আছেন একজন মাত্র চিকিৎসক৷ তাই সরকারের ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকই সাধারণ মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসা৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেট পাওয়া যায় প্রয়োজনের ৩ ভাগের ১ ভাগ৷ তবে আন্তরিকতা এবং ব্যস্থাপনার উন্নয়ন ঘটলে এই অবস্থাতেই অনেক ভালো স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সম্ভব৷
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার রশিদ ভুইয়া স্বীকার করেন, চিকিৎসকরা গ্রামে যেতে না চাওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটানো যাচ্ছে না৷ তিনি মনে করেন, চিকিৎসকরা যাতে গ্রামে যান সেই প্রণোদনা দিতে হবে৷
আর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব বলেন, সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে৷ আর যে যেখানে কাজ করেন তার জবাবদিহিতার ব্যবস্থা সেখানেই করতে হবে৷
তারা মনে করেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য দরকার সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থা৷ সেখানে চিকিৎসকের সঙ্গে নার্স, পুষ্টিবিদ, টেকনিশিয়ান সবার একটি টিম ওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই