বাংলাদেশে কার্যকর সংসদ এবং সুশাসনের স্বপ্ন
২৬ জুন ২০১৯সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘‘কার্যকর জাতীয় সংসদ ও বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে না৷ জাতীয় সংসদকে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে রূপ না দেওয়ায় বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগসহ রাষ্ট্রের অন্য অঙ্গগুলো আজও জনবান্ধব হয়ে ওঠেনি৷''
আমরা যদি ১৯৯০ সালের গণআন্দোলন পরবর্তী সময়কে ধরি তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বয়স (১৯৯১ থেকে ২০১৯) ২৮ বছর৷ মাঝখানে অবশ্য প্রায় দু'বছর (২০০৭-২০০৮) সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো৷ এই দু'বছর বাদ দিলেও ২৬ বছর কোনো হিসাবেই কম সময় নয়৷ শুধু সর্বজন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান নন, এই দীর্ঘ সময়ে গণতন্ত্র যে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি এটা এখন অনেকেই প্রকাশ্যে বলছেন৷ বিশেষ করে গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এদেশে গণতন্ত্র এখন এক ভিন্নমাত্রার সংকটে পড়েছে৷
গণতন্ত্রের সার্বজনীন সংজ্ঞা নিয়ে বিশজুড়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে নানা আলোচনা এবং বিতর্ক প্রচলিত আছে৷ তবে সবকিছু ছাপিয়ে ১৮৬৩ সালে গেটিসবার্গ বক্তৃতায় আব্রাহাম লিংকনের দেওয়া সংজ্ঞাটিই সর্বাধিক গৃহীত৷ তাঁর মতে গণতন্ত্র হলো জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার৷ আর অধ্যাপক গেটেলের মতে, ‘‘যে শাসন ব্যবস্থায় জনগণ সার্বভৌম ক্ষমতার প্রয়োগে অংশ নেওয়ার অধিকারী হয়, তা-ই গণতন্ত্র৷'' গণতন্ত্র বা ডেমোক্রেসি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ডেমোক্রেসিয়া থেকে, যার অর্থ ‘জনগণের শাসন'৷ আর সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্রের সুফল তখনই মিলবে, যখন থাকবে একটি কার্যকর সংসদ এবং সরকারী দলের পাশাপাশি একটি কার্যকর বিরোধী দলও৷ এই ভারসাম্য না থাকলে কর্তৃত্ববাদী শাসন চেপে বসার আশঙ্কা তৈরী হয়৷ ব্যাহত হয় সুশাসন৷ ভেঙ্গে পড়ে রাষ্ট্রকাঠামো৷ বাংলাদেশে আমরা এখন সে আশঙ্কার মধ্যেই আছি৷
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা যে জয় পেয়েছে তাতে এদেশে বিরোধী দল একেবারে নাই হয়ে গিয়েছে৷ ওই নির্বাচনে ভোট হওয়া ২৯৯ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ৷ জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন৷ এই নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০ জানুয়ারি গঠিত একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন কার্যত বিরোধী দল ছাড়াই শেষ হয়েছে৷ প্রথমে ফল প্রত্যাখ্যান করলেও পরে শপথ নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন থেকে একাদশ সংসদে যোগ দিয়েছেন মাঠের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির পাঁচ ও তাদের সমমনা দলের দুজন এমপি৷ যদিও খাতা-পত্রে এই সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছে জোট রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অন্যতম মিত্র জাতীয় পার্টি৷ বিএনপির বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত দশম সংসদেও দলটি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে৷ একই সঙ্গে তারা সরকারেরও শরিক ছিলো৷ ওই মেয়াদে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির তিনজন নেতা৷ পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজেও গ্রহণ করেন মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ৷ সরকারের সঙ্গে নজিরবিহীন সখ্য অটুট রাখার ফলে দশম সংসদের শুরু থেকে শেষ অবধি জাতীয় পার্টিকে পরিচয় সংকটে থাকতে হয়েছে৷ বিএনপি তাদেরকে গৃহপালিত বিরোধীদল হিসেবে আখ্যা দিয়েছে৷ আর কাগজে কলমে কার্যকর থাকলেও ওই সংসদ জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর ছিলো সে প্রশ্নও কিন্তু রয়ে গেছে৷ যার ছায়া একাদশ সংসদেও পড়েছে৷ সংকট আরও ঘনীভূত করেছে।
আমরা জানি বর্তমানে চলমান এই সংসদে সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি রয়েছেন৷ সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রমও চলছে৷ বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের প্রবণতাও নেই৷ তবুও সংসদ প্রাণবন্ত হচ্ছে না৷ সবচেয়ে আশঙ্কাজনক হলো বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের আগ্রহও এখন কমে গেছে৷ রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্ধারণে ক্রমশ গৌণ হয়ে পড়ছে সংসদের ভূমিকাও৷ হারিয়ে যেতে বসেছে সার্বভৌম সংসদের অস্তিত্ব৷ গণতন্ত্রের জন্য এটা কোনোভাবেই সুখকর নয়৷
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সুফল পেতে হলে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বিরোধীদল,যার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে ক্ষমতার ভারসাম্য৷ আওয়ামী লীগের অভাবনীয় জয়ের পরে এদেশে গঠিত একাদশ সংসদে এই সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ পর্যায়ে রয়েছে৷ এ বিষয়ক আলোচনা শুরু হয়েছে নির্বাচনের পর পরই৷ একাদশ সংসদ গঠনের পর এই আলোচনা আরও ডালপালা মেলেছে৷ সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেই বলেছেন, বল এখন সরকারি দলের কোর্টে, সংসদকে কার্যকর করতে হলে তাদেরকেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে৷ জাতীয় স্বার্থে অনেক ক্ষেত্রে ছাড়ও দিতে হবে৷ তবে গত দুটি অধিবেশন পর্যালোচনা করে আমরা সে লক্ষণ খুব একটা দেখছি না৷ এই দুই অধিবেশনে ওই অর্থে কার্যকর কোনো বিল উত্থাপন হয়নি৷ সংসদীয় কার্যক্রমের প্রাণ হচ্ছে জাতীয় ইস্যু নিয়ে বিতর্ক, আমরা দেখতে পাইনি সেরকম প্রাণবন্ত কোনো বিতর্কও৷ তবে আশার কথা হচ্ছে, প্রথমে ফল প্রত্যাখান করলেও বিএনপি এবং তাদের সমমনা দলের সাত এমপি শপথ নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন থেকেই সংসদে যোগ দিয়েছেন৷ একজন নারী সংসদ সদস্যও চলতি বাজেট অধিবেশন থেকে সংসদে রয়েছেন৷ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, সংখ্যায় তারা কতো সেটা বিবেচ্য নয়,তাদের প্রাপ্য সুযোগ তিনি নিশ্চিত করবেন৷
বিরোধীদল কতোটুকু সযোগ পেলো তার পর্যালোচনা আসলে করতে হবে চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পর৷ অবশ্য বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর সরকারি ও বিরোধী দলের এমপিদের সংখ্যার যে অনুপাত তাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কার্যকর সংসদের আশা আসলে খুব একটা করা যায় না৷
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা চালুর পর তিনটি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সেগুলোর মধ্যে এবারই সংসদে রয়েছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের প্রতিনিধি৷ নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রায় সবাই সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নেয়৷ আর জয়ী হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে সর্বোচ্চ সংখ্যক নয়টি রাজনৈতিক দল৷ এদের মধ্যে রয়েছে, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, গণফোরাম, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু), বিকল্প ধারা, তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)৷
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপি নেতৃত্বাধীন অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করলেও সে সংসদে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল৷ আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৪০টির মতো নিবন্ধিত দলের মধ্যে একটি ছাড়া সবাই অংশ নেয়৷ নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় আটটি দল৷ সেগুলো হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ও এলডিপি৷
এতোদিনে সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি থেকেও মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ৷ দশম সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি হাতেগোনা কয়েকবার সংসদের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করলেও তারা পুরো পাঁচ বছরে একদিনের জন্যও সংসদ বর্জন করেনি৷ একাদশ সংসদের দুটি অধিবেশনেও বর্জনের ঘটনা ঘটেনি৷
সংসদ সচিবালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এর আগে নবম সংসদের মেয়াদে সংসদ বর্জনের রেকর্ড গড়েছিল তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ ৪১৮ কার্যদিবসের মধ্যে তারা অনুপস্থিত ছিল ৩৪২ দিন৷ এর আগে অষ্টম সংসদে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সদস্যরা সর্বোচ্চ ২২৩ দিন অনুপস্থিত ছিলেন৷ ওই সংসদ শেষ হয়েছিল ৩৭৩ কার্যদিবসে৷ এর আগে সপ্তম জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরে মোট কার্যদিবস ছিল ৩৮২ দিন৷ এ সময় তৎকালীন বিরোধী দল বিএনপি বর্জন করে ১৬৩ দিন৷ সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে আসার পর প্রথম সংসদ অর্থাৎ পঞ্চম সংসদের পাঁচ বছরে মোট কার্যদিবস ছিল ৪০০ দিন৷ ওই সময় বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সংসদ বর্জন করে ১৩৫ দিন৷
আমরা দেখছি বর্জনের সংস্কৃতি বিদায় নিলেও কার্যকর হয়নি সংসদ৷ এর ফলে সুশাসনেও ঘাটতি থেকে গেছে৷ নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগ নিয়েও কথা উঠছে৷ স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কি৷ শুরুতেই চাই সরকারী দলের দায়িত্বশীল আচরণ, প্রয়োজনে ছাড়৷ এটা নিশ্চিত করা গেলে আর কোনো আলোচনারই অবকাশ থাকে না৷ তবে এও বলা যায় এই দায়িত্বশীল আচরণ, এই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা কিন্তু হুট করে আসবে না৷ এজন্য পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন৷ যা অনেক বড় কাজ এবং এই কাজে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের আগ্রহ একেবারে নেই বললেই চলে৷ এমপিদের দলীয় বৃত্তের বাইরে নিয়ে আসার আলোচনাও রয়েছে জোরেসোরে৷ এনিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা মত ও প্রস্তাব দিচ্ছেন৷ সংবিধানের বহুল আলোচিত ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তনের দাবিও দীর্ঘদিনের৷ এই অনুচ্ছেদকে অনেকেই গণতন্ত্র এবং কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার বিরোধী বলে মনে করেন৷ এতে বলা হয়েছে,
‘‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরূপে মনোনীত হইয়া কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি,
(ক) উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা
(খ) সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন,
তাহা হইলে সংসদে তাহার আসন শূণ্য হইবে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হইবার অযোগ্য হইবেন না৷''
আসলে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছিলো এদেশের ভঙ্গুর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে মোকাবেলার স্বার্থেই৷ তা না হলে আমাদেরকে সকাল বিকাল অনেক সরকারই দেখতে হতো৷ অনেকে বলেন, এমপি কেনাবেচাও হতো৷ এই অনুচ্ছেদ নিয়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্টে একটি রিটও হয়েছিলো৷ তবে সেটি খারিজ হয়ে গেছে৷ আমরা মনে করি, সরকারের প্রতি অনাস্থা ভোট বাদ দিয়ে আর সব বিষয়ে সংসদে পক্ষে বিপক্ষে এমপিদের ভোট দেওয়াসহ মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে৷ এটা করা গেলেই সংসদে যে জবাবদিহিতার কথা বলা হচ্ছে, ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলা হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করা যাবে৷
একইসঙ্গে সংসদীয় কমিটিগুলোকেও কার্যকর করতে হবে৷ সাবেক মন্ত্রীরা যদি বেশিরভাগ কমিটির প্রধান হন তাহলে এই কমিটিগুলো কার্যকর হবে কিভাবে? বিষয়টি ভেবে দেখে এখনই এ ব্যাপারে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন জরুরী৷ কমিটির সদস্যরা যেন কোনোরূপ স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে না পড়েন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে৷আমাদের লক্ষ্য একটাই, এগিয়ে যেতে হবে৷ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে৷ অনের রক্তে, অনেক ত্যাগে পাওয়া এই বাংলাদেশ৷ শুধু দেশ স্বাধীন করার জন্য নয়, গণতন্ত্রের জন্যও এদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে৷ তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থেই অবারিত করতে হবে দেশটির আগামীর পথচলা৷ গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াটাও সেজন্য জরুরী৷ তা না হলে দেশের অগ্রযাত্রা যে ব্যাহত হবে৷ গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র জাতীয় সংসদ৷ সেটিকে কার্যকর করা ছাড়া আমাদের সামনে আসলেই আর কোনো বিকল্প নেই৷