বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাজার কোটির রেকর্ড
১১ নভেম্বর ২০০৯আতিউর রহমান বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্সের ওপর ভর করেই এটা সম্ভব হয়েছে৷
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ সহায়তা যুক্ত হওয়ার পর এ রিজার্ভ সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে ১০ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারে উঠে যায় বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা৷
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বৈশ্বিক মন্দার প্রেক্ষিতে আমদানি অনেক কমে যাওয়াও এ রিজার্ভ গড়তে সহায়তা করেছে৷
গত বছরের তুলনায় এ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আমদানি প্রায় ১৯ শতাংশ কমে ৫ দশমিক ১২ বিলিয়নে নেমে আসে৷ রপ্তানি প্রায় ১১ শতাংশ কমে নেমে আসে ৩ দশমিক ৮৭ বিলিয়নে৷ এতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বাণিজ্য ঘাটতি কমে ১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন থেকে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়নে দাঁড়ায়৷
কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশে কর্মরত প্রায় ৬০ লাখ বাংলাদেশীর পাঠানো বিপুল রেমিটেন্সের কারণে বাণিজ্য ঘাটতির প্রভাব মোকাবেলা এবং সার্বিক ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা করে উদ্বৃত্ত থাকা সম্ভব হয়েছে৷
এ জুলাই-অক্টোবরে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ বেশি৷
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার