1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোহিঙ্গা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল৷ এখনও সেখানকার রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু হচ্ছে৷ তাই মানবিক কারণে তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1683P
Parveen Akhtar, an illegal Rohingya refugee woman and her children. By taking an illegal ferry along with other men, Parveen’s husband Giasuddin in 2010 landed in Thailand. But before he could reach Malaysia, along with some hundreds of other men he was intercepted by Thai forces. Later his engineless boat was towed up to the middle of the sea by the Thai Navy and left to drift. Running out of food and water Giasuddin died in the sea, along with 350 other men. The illegal boat journey to Thailand is fraught with life-threatening risks. Copyright: DW/Shaikh Azizur Rahman 2011, Cox’s Bazar, Bangladesh
Bangladesch Rohingya Bootsflüchtlingeছবি: DW/Shaikh Azizur Rahman

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রথমে মিয়ানমার এবং পরে বাংলাদেশ সফর করেন৷ গত ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে তাদের এই সফর শুরু হয়৷ বাংলাদেশ ৩ দিনের সফরে তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন৷ সফরের শেষ দিনে গতকাল বিকেলে তাঁরা ঢাকার অ্যামেরিকান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন৷ তাঁদের পক্ষ থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি কেলি ক্লেমেন্ট বলেন, তাঁরা মিয়ানমার সফরে দেখেছেন সেখানকার রাখাইন রাজ্যে এখনো অস্থিরতা আছে

তিনি বলেন, সেখানে এখনো অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে৷ কিছু ঘটনা তাদের অনুভূতি এবং আবেগকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে৷ সেখানে এখনো ঘরবাড়ি হারিয়ে রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু হচ্ছেন৷

Rohingya Muslim men, fleeing from ethnic violence in Myanmar between Buddhists and minority Rohingya Muslims, cry at a boat jetty before they are pushed back to Myanmar, at Shahporir Dwip in Taknaf, Bangladesh, Monday, June 18, 2012. After a couple of days of quiet, 128 Rohingya Muslim men were intercepted while crossing the Naf river to Bangladesh, Sunday and Monday, fleeing sectarian violence. (Foto: Saiful Haq Omi/AP/dapd)
জাতিদাঙ্গার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরাছবি: AP

এই পরিস্থিতিতে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানান৷ তবে তারা মনে করেন, এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়৷ তাদের আশা, মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবেন৷ তারা মনে করেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে আলোচনা চলেছে তাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সংকট কেটে যাবে৷

কেলি ক্লেমেন্ট বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তাঁর কাছে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য সেখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সমঝোতা প্রয়োজন

বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷ আর অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা কয়েক লাখ৷ কিন্তু গত জুনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্য বস্ত্র দিয়ে সহায়তা করলেও আশ্রয় দেয়নি বাংলাদেশ৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের অতীতের আচরণের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রতিনিধি দল৷ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাও উপস্থিত ছিলেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন