রোহিঙ্গা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রথমে মিয়ানমার এবং পরে বাংলাদেশ সফর করেন৷ গত ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে তাদের এই সফর শুরু হয়৷ বাংলাদেশ ৩ দিনের সফরে তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন৷ সফরের শেষ দিনে গতকাল বিকেলে তাঁরা ঢাকার অ্যামেরিকান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন৷ তাঁদের পক্ষ থেকে ডেপুটি সেক্রেটারি কেলি ক্লেমেন্ট বলেন, তাঁরা মিয়ানমার সফরে দেখেছেন সেখানকার রাখাইন রাজ্যে এখনো অস্থিরতা আছে৷
তিনি বলেন, সেখানে এখনো অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে৷ কিছু ঘটনা তাদের অনুভূতি এবং আবেগকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে৷ সেখানে এখনো ঘরবাড়ি হারিয়ে রোহিঙ্গারা উদ্বাস্তু হচ্ছেন৷
এই পরিস্থিতিতে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার আহ্বান জানান৷ তবে তারা মনে করেন, এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়৷ তাদের আশা, মিয়ানমারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাবেন৷ তারা মনে করেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে আলোচনা চলেছে তাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সংকট কেটে যাবে৷
কেলি ক্লেমেন্ট বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেছে৷ তাঁর কাছে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য সেখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সমঝোতা প্রয়োজন৷
বাংলাদেশে এখন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার৷ আর অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা কয়েক লাখ৷ কিন্তু গত জুনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় বিপর্যস্ত রোহিঙ্গাদের খাদ্য বস্ত্র দিয়ে সহায়তা করলেও আশ্রয় দেয়নি বাংলাদেশ৷ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের অতীতের আচরণের প্রশংসা করেন মার্কিন প্রতিনিধি দল৷ সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজেনাও উপস্থিত ছিলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন