বাংলাদেশে সালিশি বিধানের অপপ্রয়োগের অভিযোগ
১৭ জুলাই ২০১১তিনি বলেন, ধর্ষণের মত অপরাধকেও সালিশির মাধ্যমে নিষ্পত্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ যা দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন৷ আর এই সালিশির প্রধান শিকারে পরিণত হচ্ছেন নারীরা৷
রংপুরের বদরগঞ্জে দুই নারীকে সালিশের নামে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আয়নাল হকের নির্দেশে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা এখন সারাদেশে আলোচিত৷ ওই চেয়ারম্যান মধুপুর ইডনিয়ন এলাকায় একটি ধর্ষণের ঘটনাকেও সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দিয়েছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ করেছে৷ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ অবশ্য এখন তৎপর হয়েছে৷ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে জানান, গ্রাম আদালতের যে বিধান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আছে তা সাধারণ বিরোধ মীমাংসা করতে পারে৷ ফৌজদারী অপরাধের কোন বিচার বা সালিশি করতে পারে না৷ এটা করা বেআইনি৷
তিনি জানান, আর এই ধরনের অবৈধ সালিশের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ চেয়ারম্যান বা মাতব্বররা সালিশের নামে তাদের অন্যায় সিদ্ধান্ত নারীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে৷ তাদের শাস্তি দিচ্ছে৷ যা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷
এ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, এইসব অবৈধ সালিশ বন্ধ করতে হবে৷ স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সরকারের পক্ষ থেকে গ্রাম আদালতের বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে৷ জানাতে হবে তাদের দায়িত্ব ও কাজের সীমানা৷ আর কোন জনপ্রতিনিধি প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে সালিশ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী