1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে সালিশি বিধানের অপপ্রয়োগের অভিযোগ

১৭ জুলাই ২০১১

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সাধারণ বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশের বিধান থাকলেও তার অপপ্রয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এ্যাডভোকেট এলিনা খান৷

https://p.dw.com/p/11wlk
Women queue up for food at a relief camp in flooded Hobigonj district, 120 kilometers (75 miles) northeast of Dhaka, Bangladesh, Monday June 11, 2001. Floods caused by weeklong monsoon rains stranded nearly half a million people, washed away mud embankments and damaged rice crops in northeastern Bangladesh, officials said Monday
ছবি: AP

তিনি বলেন, ধর্ষণের মত অপরাধকেও সালিশির মাধ্যমে নিষ্পত্তির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷ যা দেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন৷ আর এই সালিশির প্রধান শিকারে পরিণত হচ্ছেন নারীরা৷

রংপুরের বদরগঞ্জে দুই নারীকে সালিশের নামে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আয়নাল হকের নির্দেশে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা এখন সারাদেশে আলোচিত৷ ওই চেয়ারম্যান মধুপুর ইডনিয়ন এলাকায় একটি ধর্ষণের ঘটনাকেও সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দিয়েছেন বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার অভিযোগ করেছে৷ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ অবশ্য এখন তৎপর হয়েছে৷ বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে জানান, গ্রাম আদালতের যে বিধান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় আছে তা সাধারণ বিরোধ মীমাংসা করতে পারে৷ ফৌজদারী অপরাধের কোন বিচার বা সালিশি করতে পারে না৷ এটা করা বেআইনি৷

তিনি জানান, আর এই ধরনের অবৈধ সালিশের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ চেয়ারম্যান বা মাতব্বররা সালিশের নামে তাদের অন্যায় সিদ্ধান্ত নারীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে৷ তাদের শাস্তি দিচ্ছে৷ যা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷

এ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, এইসব অবৈধ সালিশ বন্ধ করতে হবে৷ স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সরকারের পক্ষ থেকে গ্রাম আদালতের বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে৷ জানাতে হবে তাদের দায়িত্ব ও কাজের সীমানা৷ আর কোন জনপ্রতিনিধি প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে সালিশ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী