বাণিজ্য চুক্তিতে ট্রাম্প নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল
১৭ জুলাই ২০১৮টোকিওতে হতে যাওয়া এই চুক্তির বিষয়ে গত বছরই ঐক্যমত্যে পৌঁছায় ইউরোপ ও জাপান৷ এ মাসে আরো আগেই চুক্তি হবার কথা ছিল৷ কিন্তু জাপানে ভয়াবহ বন্যার কারণে তা পিছিয়ে যায়৷ জাপানের প্রেসিডেন্ট শিনজো আবে'র ব্রাসেলসে আসার কথা ছিল৷
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইয়ুঙ্কার চুক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবারই টোকিও পৌঁছেছেন৷ মঙ্গলবার একটি গালা ডিনারে যোগ দেবার কথা রয়েছে তাঁদের৷
বিশ্বের অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রায় ৬০ কোটি জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্বকারী দুই ব্লক এই চুক্তি নিয়ে বেশ আশাবাদী৷
চুক্তি অনুযায়ী, জাপানের ভোক্তাদের জন্য ইউরোপীয়ান ওয়াইন, চিজ, বিস্কুট, চকোলেট ও শুকরের মাংসের দাম কমবে৷ বাড়বে রাসায়নিক, পোশাক ও বিয়ার রপ্তানি৷ আর ইউরোপে কমবে জাপানিজ যন্ত্রপাতি, চা ও মাছের দাম৷
এর কারণ জাপানের পণ্যের ওপর ৯৯ ভাগ আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে৷ তবে ইউরোপীয় পণ্য জাপানে রপ্তানির ওপর ৯৪ শতাংশ শুল্ক কমানো হচ্ছে৷ তবে সেই কমানোর হার আস্তে আস্তে ৯৯ শতাংশে নেয়া হবে৷
যদিও এই বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ২০১৩ সাল থেকে, চুক্তিটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে৷ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চীনের ৩৪ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছে৷ চীনও প্রায় সমমূল্যের যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়ে এর জবাব দিয়েছে৷
ইইউ'র সঙ্গে শুল্ক আরোপ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের৷ ক'দিন আগে এ সংকট চরম আকার ধারণ করে৷
এদিকে, ইইউ ওজাপান চুক্তির বাইরেও আরো বড় পরিসরে বাণিজ্য সমঝোতায় আসার পরিকল্পনা পোক্ত করেছে৷ সেখানে যোগ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো, ভিয়েতনামসহ আরো কয়েকটি দেশ৷ পূর্ব-পশ্চিমের এই নতুন বাণিজ্যের পথচলায় সঙ্গে নেই যুক্তরাষ্ট্র৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, এই চুক্তির ফলে শুধু রপ্তানিই বাড়বে না, ইউরোপে চাকরি বা কাজের নিরাপত্তা বাড়বে৷
জেডএ/এসিবি (এপি)