বাণিজ্য, শুল্ক ও টয়লেট ব্রাশ: ২০১৯র ব্যবসা চিত্র
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে, ব্রেক্সিট অচলাবস্থা নিরসনেও নেই আশার আলো৷ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংও তাদের নতুন মডেল ৭৩৭ ম্যাক্স নিয়ে চরম বেকায়দায়৷ দেউলিয়া হয়েছে বিখ্যাত টমাস কুক৷
ট্রাম্প ব্রাশ কেন বেস্টসেলার?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দারুণ সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনর্থক কথার জন্যও কুখ্যাত৷ তার উদ্ভট কর্মকাণ্ডের প্রভাব এমনকি দেশটির ফেডারেল রিজার্ভের উপরও পড়েছে, মন্থর হয়েছে অর্থনীতির চাকা৷ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করে তিনি দেশি কোম্পানিগুলেও বিপদে ফেলেছেন৷ এই যখন অবস্থা তখন রাগ কমাতেই হয়তো ট্রাম্পের আদলে তৈরি এই টয়লেট ব্রাশের এত চাহিদা৷
পাল্টা-পাল্টি শুল্কারোপ, কবে হবে চুক্তি?
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে গত দুই বছর ধরে যে বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে তাতে শুধু তারাই নয় বরং বিশ্বজুড়ে প্রায় সব কোম্পানিকে ফল ভোগ করতে হচ্ছে৷ উভয় দেশ পরষ্পরের পণ্যের উপর চার হাজার ৫০০ কোটি টাকার শুল্কারোপ করেছে৷
হুয়াওয়ে কি শেষ?
চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বলি সম্ভবত হুয়াওয়ে৷ ট্রাম্প চীনের বৃহৎ এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্কের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন৷ ওই নিষেধাজ্ঞার গ্যাড়াকলে পড়ে অন্যান্য দেশও হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারছে না৷
কোন পথে ব্রেক্সিট?
গত দুই বছর ধরে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ প্রশ্নে যুক্তরাজ্যে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা আবসানের পথ এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ যদিও আগাম নির্বাচনে আরো বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যেকোনো মূল্যে ব্রেক্সিট চান৷ কিন্তু পার্লামেন্ট তাকে সেই পথে কতটুকু সফল হতে দেবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা৷
বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের ভবিষ্যৎ কী?
মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে দুইটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৬০ জনের বেশি আরোহী নিহত হওয়ায় পর বিশ্বের সব এয়ারলাইন বোয়িংয়ের নতুন এ মডেলের বিমান উড্ডয়ন বন্ধ করে দেয়৷ বেশ কয়কজন পাইলটও বিমানটির স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ প্যানেল নিয়ে আভিযোগ করেছেন৷ বোয়িং আপাতত এই মডেলের বিমান উৎপাদন বন্ধ রেখেছে৷
বাঁচানো যেত কি টমাস কুক?
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো অবকাশ পর্যটন কোম্পানি টমাস কুককে সেপ্টেম্বরে দেউলিয়া ঘোষণার পর প্রায় দেড় লাখ পর্যটককে দেশে ফেরত আনতে দেশটির সরকারকে নতুন করে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল৷ যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া কখনো এমনটা করতে হয়নি৷ ১৮৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির এ পতন অনেকের কাছেই দারুণ হতাশার৷