বাতিল প্লাস্টিক দিয়ে চমকপ্রদ চিত্রকর্ম
২২ আগস্ট ২০১৪বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সব পোরট্রেটগুলো প্লাস্টিক দিয়ে পুনরায় তৈরি করেন জেন পার্কিন্স৷ রিসাইক্লিং আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত তিনি৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্লাস্টিক উপাদান নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি৷ ব্যতিক্রমী রং, আকার আমাকে উৎসাহ যোগায়৷ সাধারণ মানুষ অন্যান্য পেন্টিং এর চেয়ে এগুলোর দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকে, কেননা এতে সবসময়ই নতুন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়৷''
অসংখ্য একক উপাদান ব্যবহার করে ছবি তৈরি করেন পার্কিন্স৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা কত কত জিনিস যে আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেই তা দেখে আমি সবসময়ই শঙ্কিত হই৷ আপনি পুরনো জিনিস-পত্র বিক্রির বাজারে গেলে পাহাড়প্রমাণ অপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সন্ধান পাবেন৷''
ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এক্সেটার শহরের ফ্লি মার্কেটে নিয়মিত যান জেন পার্কিন্স৷ সেখান থেকে খুঁজে খুঁজে চিত্রকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান কিনেন তিনি৷ প্লাস্টিকের খেলনাও রয়েছে তাঁর তালিকায়৷ এ সব সামগ্রীতে কোনো রকম পরিবর্তন করেন না তিনি৷ তাই সব আকার এবং রংয়ের জিনিস কিনতে হয়৷
প্রতিটি ছবিতে হাজার হাজার সামগ্রী ব্যবহার করেন জেন৷ সেগুলো তিনি ফ্লি মার্কেট থেকে কেনেন৷ কখনো কখনো বন্ধু এবং অনুসারীরা বিভিন্ন সামগ্রী দানও করেন৷ তবে ছেলের খেলনায় হাত পড়ে না৷
নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটি স্টুডিওতে কাজ করেন জেন৷ পেশায় নার্স এই নারী ২০০৩ সালে শিল্পকলা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন৷ চূড়ান্ত প্রজেক্ট তৈরির সময় ‘রিসাইক্লিং'-এর প্রতি আগ্রহী হন তিনি৷ এরপর শুরু করেন পোরট্রেট তৈরির কাজ৷
অনেকে জানতে চান, তিনি কেন নিজে কিছু করার চেয়ে বিখ্যাত চিত্রকর্ম নিয়ে কাজ করেন? কিন্তু তার মধ্যেই যে আসল মজা! পার্কিন্স বলেন, ‘‘আসলে শুধুমাত্র পরিচিত ছবির সঙ্গে ব্যাপারটি ঠিকভাবে কাজ করে৷ এটা অনেকটা পরিচিত ছবি নতুন করে অপরিচিত আকারে দেখার মতো ব্যাপার৷
‘‘আমি ছবির মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, তাদের খুশি করতে চাই৷ ছবির অন্তর্নিহিত অর্থ এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ অপরিচিত ছবি হলে ব্যঙ্গকৌতুকের ব্যাপারটা থাকবে না৷''
লন্ডনের একটি গ্যালারি জেন পার্কিন্সের চিত্রকর্ম বিক্রি করে৷ নিউ ইয়র্ক, মেক্সিকো এবং সিঙ্গাপুরেও এগুলো বিক্রি হয়৷