বাবার পথে বাশার, সিরিয়ার হামা শহরে আরও ১৪ জনের মৃত্যু
৬ জুলাই ২০১১সেই হামা শহরেই এবার সেনা পাঠিয়েছেন হাফেজের ছেলে বাশার৷ সেখানে এখন চলছে হত্যাযজ্ঞ৷
হামা শহরের সর্বশেষ
মঙ্গলবার সেখানে ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে সেনা সদস্যরা৷ এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে আরও তিনজনকে হত্যা করেছিল সেনারা৷ এখনো ট্যাঙ্ক নিয়ে হামার রাস্তায় পাহারা দিচ্ছে প্রেসিডেন্ট আসাদের বাহিনী৷ সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণেই হামার উপর আসাদ বাহিনীর এই হামলা৷ উল্লেখ্য, সিরিয়া জুড়ে মার্চে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১,৩০০ বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে৷ আর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে৷
পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া
এ ব্যাপারে আবারও অগ্রগণ্য হতে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সকে৷ যেমনটা দেখা গিয়েছিল লিবিয়ার বেলায়৷ সিরিয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স৷ তবে সিরিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব এলে চীন আর রাশিয়া যে তার বিরোধীতা করবে সেটা আগেই বলে দিয়েছে৷ এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন লিবিয়ার নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করতে আরব লিগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল৷ তাই লিবিয়ায় অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া গেছে৷ কিন্তু সিরিয়ার ক্ষেত্রে এখনো সেটা হয়নি৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
সংস্থাটি সিরিয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠাতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ কারণ তারা বলছে, সিরিয়াতে মানবতাবিরোধী কাজ হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে৷ প্রায় ৫০ জন সিরীয় নাগরিকের সঙ্গে আলোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে লন্ডন ভিত্তিক এই সংস্থাটি৷ তাতে বলা হয়েছে, গত মে মাসে সিরিয়ার তাল কালাখ শহরে ঢুকে নিরাপত্তা বাহিনী মানবতাবিরোধী কাজ করেছে৷ যেমন লোকজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করায় অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ সংস্থার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা বিষয়ক উপ-পরিচালক ফিলিপ লুথার বলছেন, ‘‘আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সিরিয়ায় সরকারের পরিকল্পিত নির্যাতনের কথা বলেছে৷''
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম