বার্ড ফ্লুতে মৃত্যু
১ মার্চ ২০১৪২০০৩ সাল থেকে শুরু করে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশের ৬৫০ জন বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়৷
উল্লেখ্য, বার্ড ফ্লু পাখিদের একধরনের জ্বর৷ তবে সেটা হাঁস-মুরগির মাধ্যমে মানবদেহেও প্রবেশ করতে পারে৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঐ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে মোট সাতজন বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ২০১৩ সালে আক্রান্ত হওয়া এক শিশু মারা যায়৷ সমকাল পত্রিকার খবর অনুযায়ী, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ বছর ১১ মাস বয়সি এক শিশু বার্ড ফ্লু নামে পরিচিত ইনফ্লুয়েঞ্জা এ (এইচ৫এন১) আক্রান্ত হয়ে মারা যায়৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) তাদের ওয়েবসাইটে এই খবরটি প্রকাশ করে৷
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঐ শিশুটিকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ পরে তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল এবং তারও পরে একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হলে, সেখানে তার মৃত্যু হয়৷ আইইডিসিআর-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিশুটির প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷ এ কারণে তার গলা ও নাক থেকে নমুনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে' (সিডিসি) পাঠানো হয়৷ সিডিসিই শিশুটি বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে৷
পরবর্তীতে কুমিল্লায় শিশুটির বাড়ির মুরগির খামারের সঙ্গে শিশুটির বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার যোগসূত্র পায় আইইডিসিআর৷