বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগি বিক্রি হচ্ছে
২৫ অক্টোবর ২০১২গাজীপুরের ব্রাদার্স পোল্ট্রি ফার্মে বার্ড ফ্লু'র সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর সেখানকার সব মুরগি ধ্বংস করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে৷ গাজীপুরের ভ্যাটেনারি সার্জন ডা. লুৎফর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ঢাকার কেন্দ্রীয় পশু রোগ অনুসন্ধান গবেষণা কেন্দ্রে মুরগির নমুনা পরীক্ষা করে তাঁরা বার্ড ফ্লু'র ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন৷ আর এই সংক্রমণের কারণে আশপাশের খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷
বাংলাদেশে প্রথম বার্ড ফ্লু ধরা পরে ২০০৭ সালে৷ তখন সারা দেশে মুরগির খামার ছিল প্রায় দেড় লাখ৷ এরপরও প্রতিবছর কম-বেশি পোল্ট্রি ফার্ম বার্ড ফ্লু সংক্রমণের শিকার হয়েছে৷ ফলে এখন দেশে খামারের সংখ্যা কমে দড়িয়েছে মাত্র ৬৫ হাজারে৷ কমে গেছে ডিম আর মুরগির উৎপাদন৷ বাংলাদেশ পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, শীত শুরুর আগেই যদি ভ্যাকসিন দেয়া যেত তাহলে এই সংক্রমণ থেকে পোল্ট্রি ফার্মগুলোকে রক্ষা করা যেত৷ কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে এতদিনেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি৷
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকরা কোনো আর্থিক সহায়তা বা ব্যাংক ঋণ পান না৷ তাই তাঁদের কেউ কেউ অনৈতিক জেনেও ক্ষতি পোষাতে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত মুরগি বাজারে বিক্রি করেন৷ এ কারণে বার্ড ফ্লু আরো বেশি ছড়ায়৷
তিনি বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষায় দ্রুত ভ্যাকসিন আমদানি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান৷