1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ

২২ আগস্ট ২০১৪

দু’টি ট্রান্সফার উইন্ডোর জন্য বার্সেলোনার উপর নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে ফিফা৷ তার আগেই অবশ্য বার্সা ১৫ কোটি ইউরো মূল্যের প্লেয়ার কিনে ফেলেছে৷

https://p.dw.com/p/1Cylh
Fußball Lionel Messi und Neymar
ছবি: KAZUHIRO NOGI/AFP/Getty Images

তা-তে ব্যাক ও মিডফিল্ডের খাঁকতি কিছুটা মিটলেও, ভরসা তো ঐ ফরোয়ার্ড লাইন৷ কোন আইনে বার্সার মাথা কাটা গেল, সেটা আগে একটু বোঝানো দরকার৷ ফিফা সাধারণত ১৮ বছরের কম বয়সের প্লেয়ারদের আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার অুনমোদন করে না৷ করে, যদি প্লেয়ারটির বাবা-মা ক্লাবটি যে দেশে অবস্থিত, স্বদেশ থেকে বাস ও পাট তুলে সে'দেশে দেশান্তরী হন – এবং ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত কোনো কারণে নয়৷ দ্বিতীয়ত, যদি ইইউ-এর এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রান্সফার হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারটির বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে৷

FC Barcelona Luis Suarez 11.07.2014
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রথম রুলটির অর্থ: ইউরোপের ধনি ক্লাবগুলো যদি আফ্রিকা বা দক্ষিণ অ্যামেরিকার আন্ডার-এজ প্লেয়ারদের বাবা-মাকে চাকরি দিয়ে নিয়ে আসে, তাহলে বলার কিছু নেই৷ ইউরোপের অন্য কোনো দেশ থেকে আন্ডার-এজ প্লেয়ার আনলে, ফুটবল ট্রেনিং-এর সঙ্গে সঙ্গে তার পড়াশুনার ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সে ফুটবল ছাড়া আরো কোনো একটা পেশা শেখে৷

বার্সা এই সব রুলের আওতায় পড়েছে – কিন্তু ফিফার বিচার অনুযায়ী থাকেনি – মূলত তার সুবিখ্যাত লা মাসিয়া যুব অ্যাকাডেমির জন্য৷ এবং বার্সার আপিল বাতিল করে যে তার সাজা বজায় রাখা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি ‘বেজেছে' বার্সার ফুটবল ধর্ম, ফুটবল দর্শনের উপর এই ‘অন্যায়' দোষারোপ: ‘‘বার্সা এমন কোনো রায় মেনে নিতে পারে না, যা আমাদের মাসিয়া নীতির উপর আক্রমণের সমতুল, (যে মাসিয়া অ্যাকাডেমি কিনা তরুণ ফুটবল প্রতিভাদের) মানবিক, ক্রীড়াগত এবং শিক্ষাগত বিকাশের বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি নিদর্শন৷''

‘বদলির অলিন্দে'

তাই বার্সা যাচ্ছে কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্ট-এর কাছে, আবার আপিল করতে৷ ফিফার কাছে এর আগের আপিলের অন্তত এইটুকু ফল হয়েছে যে, ট্রান্সফার উইন্ডোতে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বার্সা সেই সুযোগে বেশ কিছু নামি-দামি প্লেয়ার কিনে ফেলেছে – যেমন উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ, বেলজিয়ামের সেন্টার ব্যাক টোমাস ফের্মেলেন, ফ্রান্সের ডিফেন্ডার জেরেমি ম্যাথিউ, ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ, চিলির গোলকিপার ক্লাউদিও ব্রাভো এবং জার্মান গোলকিপার মার্ক-অন্দ্রে টের স্টেগেন৷

বার্সার কোচ লুইজ এনরিকে এককালে পেপ গুয়ার্দিওলার টিমমেট ছিলেন৷ তিনি দেখছেন, সুয়ারেজের উপর অক্টোবর অবধি নিষেধাজ্ঞা; নেইমার চোট থেকে সেরে উঠছেন; আর লিওনেল মেসি অন্য দু'জনের মতোই বিশ্বকাপ জনিত হতাশায় ভুগছেন৷ অপরদিকে এনরিকে দু'জন নতুন সেন্টার-ব্যাক পাচ্ছেন: ভ্যালেন্সিয়া থেকে জেরেমি ম্যাথিউ ও আর্সেনাল-এর ক্যাপ্টেন টোমাস ফের্মেলেন৷ কাজেই বার্সার ডিফেন্স কিছুটা গভীরতা পেল এবং হাবিয়ের মাস্কেরানো মিডফিল্ডে তাঁর প্রিয় পজিশনে ফিরতে পারলেন৷

এনরিকের খেলার স্টাইল গুয়ার্দিওলার চেয়ে কিছুটা বাস্তব ঘেঁষা, যদিও তাঁকে পূর্বসূরি জেরার্দো মার্তিনোর মতো বার্সার ‘‘টিকি-টাকা'' ফুটবল শৈলীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ শুনতে হবে না৷ কে জানে, ‘‘টিকি-টাকা''-র রাজা সাবি অ্যার্নান্দেসই যখন অবসর নেবার মুখে, তখন এনরিকে হয়ত তাঁর খেলোয়াড়দের বলবেন, বলটা আর একটু তাড়াতাড়ি গোলের দিকে ঠেলতে৷ কিন্তু কি খেলার স্টাইল, কি এ মরশুমে ট্রফি জেতা, উভয় ক্ষেত্রেই বার্সার জীবন-মরণ নির্ভর করবে তার তিন-তারা ফরোয়ার্ড লাইনের উপর৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য