বিকল্প নোবেল পাচ্ছেন চার বিশিষ্ট ব্যক্তি
১৩ অক্টোবর ২০০৯এই পুরস্কারের পোশাকি নাম রাইট লাইভলিহুড এওয়ার্ড বা জীবন ও জীবিকা রক্ষা অধিকার বিষয়ক পুরস্কার৷
এই সম্মান দেয়া হয় ঐ সব ব্যক্তিদের, যারা বর্তমান সময়ের নানা কঠিন সমস্যা থেকে পৃথিবীর মানুষকে রক্ষার জন্য বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন৷ সমাজ উন্নয়ন বা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে তাঁদের রয়েছে অনেক দিনের উদ্যম৷ ২০০৯ এর বিকল্প নোবেল প্রাপ্তরা হলেন, নিউজিল্যান্ডের এলিন ওয়্যার , কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রেনে এনগনগো, কানাডার ডেভিড সুজুকি, এবং অষ্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেয়া চিকিৎসক ক্যাথরিন হামলিন৷
জুরি বোর্ড বলছে, এলিন ওয়্যার ২০০২ সালের পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং নিরস্ত্রীকরণ সমর্থক সাংসদ নামের একটি সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ তিনি তাঁর দেশের জনগণকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উৎসাহ দিচ্ছেন৷ এমনকি ওয়্যার নিউজিল্যান্ডের স্কুলের বাচ্চাদের জন্য একটি খসড়া শান্তি বিষয়ক পাঠ্যসূচি তৈরির দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন৷
আর একজন বিকল্প নোবেল বিজয়ী কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রেনে এনগনগো৷ তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ‘‘ ধ্বংসাত্মক খনিশিল্প এবং গাছ কাটার বিরুদ্ধে'' কাজ করে যাচ্ছেন৷ তিনি বারবারই তাঁর কাজের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করছেন, রেইন ফরেস্টের ধ্বংসকান্ড বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর বড় রকমের এক নেতিবাচক ভূমিকা রাখে৷ তাই এটি বন্ধ করতে হবে৷
কানাডার ডেভিড সুজুকি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছেন৷ জুরি বোর্ডের মতে, তিনি মানুষকে ‘‘বিজ্ঞানের প্রয়োগে সামাজিক দায়বোধ''-এর ব্যাপারটা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন৷ যা তাঁকে এই পুরস্কার পেতে সাহায্য করেছে৷
চারজন বিকল্প পুরস্কার প্রাপ্তের মধ্যে একজনই চিকিৎসক৷ চিকিৎসক হামলিন বিগত ৫০ বছর ধরে ইথিউপিয়াতে সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত মেয়েদের সাহায্য করে আসছেন৷ জুরি বোর্ড বলছে, হামলিন ‘‘আফ্রিকার সবচেয়ে গরীব মহিলাদের মধ্যে সুস্বাস্থ্য, আশা এবং সাহস জুগিয়েছেন ৷''
সুইডিস-জার্মান সমাজসেবক ইয়াকব ফন ইউক্সকুল ১৯৮০ সালে এই পুরস্কারের প্রবর্তন করেন৷ আগামী ডিসেম্বর মাসে সু্ইডেনের সংসদে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার দেয়া হবে৷
প্রতিবেদক: ঝুমুর বারী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক