ইসলাম বিরোধী ছবি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২লিবিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিহত হওয়ার তৃতীয় দিনে শান্তির বার্তা নিয়ে লেবাননে গিয়েছেন পোপ৷ সেখানে চলছে বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভ তীব্রতা পেয়েছে আরো কিছু দেশে৷
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে কথিত চলচ্চিত্রটি নিয়ে উত্তেজনা আরো বাড়ছে৷ জার্মানি বেশ কিছু দেশে তাদের দূতাবাসগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে৷ এর মাঝেই সুদানের খার্তুমে জার্মান ও ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা হয়েছে৷ হামলার সময় দূতাবাস দুটো লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করা হয়৷ পরে ভেতরে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভকারীরা দূতাবাস দুটোতে ভাংচুর চালায় এবং আগুন লাগিয়ে দেয়৷
ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে বিক্ষুব্ধ মুসলমানদের মার্কিন দূতাবাসের দিকে যাত্রা ঠেকাতে টিয়ার গ্যাসে কাজ না হওয়ায় এক পর্যায়ে গুলিও ছুঁড়তে হয়৷ গুলিতে একজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন৷
মিশরের রাজধানী কায়রোতেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ তবে সেখান থেকে কোনো হতাহতের খবর আসেনি৷ এছাড়া কায়রোর মার্কিন দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পুলিশের৷ তেহরানের কয়েক হাজার মানুষ ‘যুক্তরাষ্ট্র নিপাত যাক, ইসরায়েল নিপাত যাক' স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছেন৷
ইয়েমেন, মিশর, ইরান, আফগানিস্তান, সুদানের মতো দেশ তো বটেই, এমনকি ফিলিস্তিনেও যখন জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন, তখনই আরব বিশ্বে শান্তির বার্তা পৌঁছাতে তিনদিনের সফরে বৈরুতে পৌঁছেছেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট৷ এদিকে যে ছবি নিয়ে এত উত্তেজনা নিজেকে তার প্রযোজক দাবি করে এক ব্যক্তি বলেছেন, এ ছবি করার জন্য তিনি মোটেই অনুতপ্ত নন৷ ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসরত লোকটির নাম নাকুলা বাসেলে নাকুলা বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আরবি ভাষার রেডিও ‘সাওয়া'৷ কথিত এ প্রযোজক ওই রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ছবিটির জন্য অনুতপ্ত না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিহত হওয়ায় দুঃখিত বলে জানিয়েছেন৷
লিবিয়ার বেনগাজির মার্কিন দূতাবাসে আহতদের মধ্যে তিনজনের চিকিৎসা চলছে জার্মানিতে৷ তাঁদের মধ্যে দু'জনকে খুব আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই জার্মানিতে নিয়ে আসা হয়৷ দু'জনের অবস্থাই এখন উন্নতির দিকে৷ বৃহস্পতিবার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে বের করা হয়েছে তাঁদের৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)