বিডিআর বিদ্রোহ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২বিডিআর বিদ্রোহের তিন বছর পূর্তিতে শনিবার ঐ ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেত্রীর পক্ষেও শ্রদ্ধা জানান হয়৷ নিহতদের আত্মীয়-স্বজনরা এসময় হত্যাকাণ্ডের বিচারে ধীরগতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷
তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু জানান, এই সরকারের সময়েই সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে৷ তিনি জানান, এরমধ্যেই বিদ্রোহের মামলার বিচার প্রায় শেষ৷ আর হত্যা মামলার বিচার চলছে৷
এদিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার সেনা কর্মকর্তা হত্যার বিচার নিয়ে রাজনীতি করছে৷ ফলে এর বিচারকাজ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে৷
আর মহাজোট সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল এখনো তা চিহ্নিত করা যায়নি৷
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি পিলখানা বিডিআর সদর দফতরে বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন৷ এই ঘটনায় বিদ্রোহের অভিযোগে বিডিআর আইনে ৭৭টি মামলার ৫১টির বিচার শেষ হয়েছে৷ বিচারে মোট ৩,০৩৬ জন বিডিআর সদস্যকে ৪ মাস থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ আর সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৮৪৭ জন আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে বিচার চলছে গত এক বছর ধরে৷ এই এক বছরে ৪৭৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে৷ আর বিডিআর বিদ্রোহের পর বিডিআর'এর নাম ও পোশাক বদল করা হয়েছে৷ বিডিআর এখন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বা বিজেবি নামে পরিচিত৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক