বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে উইকিলিক্সে তথ্য ফাঁস
২৮ মার্চ ২০১১বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
প্রায় সব পত্রিকায় বেশ গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে খবরটি৷ যুগান্তর বলছে গত তিনদিন ধরেই নাকি আলীমের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জয়পুরহাটে ‘টক অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট' ছিল৷ কারণ এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের একটি তদন্ত দল আলীমের ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে জয়পুরহাট গিয়েছিল৷ এদিকে সব পত্রিকা আলীমকে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিলেও সমকালের শিরোনামে তাঁকে রাজাকার বলে সম্বোধন করা হয়৷ এছাড়া আলীমকে গ্রেপ্তারের ছবিও ছেপেছে পত্রিকাটি৷ যুদ্ধের সময় আলীমের ভূমিকার বিষয়ে ট্রাইবুনালের কৌঁসুলির দেয়া বক্তব্য রয়েছে সব পত্রিকায়৷ জানা গেছে, আলীম ছিলেন জয়পুরহাট জেলার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান৷ কালের কণ্ঠ সাবেক এই বিএনপি নেতার পুরো পরিচয় তুলে ধরেছে৷ জিয়ার শাসনামলে তিনি রেল, যোগাযোগ ও বস্ত্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন৷
উইকিলিক্সে বিডিআর বিদ্রোহ
বিডিআর বিদ্রোহের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের আশঙ্কা করেছিল ভারত৷ দেশটির আশঙ্কা ছিল, বিদ্রোহের ফলে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জামায়াতে ইসলামী ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার' করতে পারে৷ এছাড়া সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাসিনা সরকারের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছিল ভারত৷ উইকিলিক্সে ফাঁস হওয়া তথ্য থেকে এসবই জানা গেছে৷ ভারতের ‘দ্য হিন্দু' পত্রিকায় গতকাল রবিবার এ সংক্রান্ত খবর বের হয়৷ এরপর বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকা সেখান থেকে খবর পরিবেশন করে৷ ‘দ্য হিন্দু'র খবরে বলা হয়, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে নতুন দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স স্টিভেন হোয়াইটকে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব শিবশঙ্কর মেনন বৈঠকে ডেকে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে আলোচনা করেন৷ পরে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে দিল্লির মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে একটি বার্তা পাঠানো হয়৷ যেটা পরে উইকিলিক্সে ফাঁস হয়৷
ভারতের পণ্য পরিবহন
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে এ সংক্রান্ত খবরটি আছে৷ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য কলকাতা থেকে যন্ত্রপাতি নৌপথে এসেছে আশুগঞ্জে৷ সেখান থেকে গত মধ্যরাতে সড়কপথে কিছু যন্ত্রপাতি আখাউড়া হয়ে ভারতে যাবার কথা এবং এতক্ষণে সেগুলো আখাউড়ায় পৌঁছে যাবার কথা৷ গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷
গ্রন্থনা: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই