বিতর্কিত প্যাংগং লেকের উপর চীনের সেতু
১৯ জানুয়ারি ২০২২অভিযোগ আগেই ছিল। এবার প্রমাণ মিলল। স্যাটেলাইট ছবিতে স্পষ্ট লাদাখ-তিব্বত সীমান্তে প্যাংগং লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ অংশ জুড়ে একটি সেতু নির্মাণ করছে চীন। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই সেতু চীনকে সীমান্ত অঞ্চলের স্ট্র্যাটেজিক অংশে বিশেষ সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল ভারত-চীনসীমান্তের বিতর্কিত অংশেই চীন এই নতুন নির্মাণকাজ শুরু করেছে। কিন্তু ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, যে অংশে চীন এই সেতু নির্মাণ করছে বলে জানা গেছে, তা সাম্প্রতিক ভারত-চীন বিতর্কের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়ে না। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময় ওই জমি চীন দখল করেছিল। অর্থাৎ, গত দেড় বছরে প্যাংগং অঞ্চলে দুই দেশের যে স্ট্যান্ডঅফ হয়েছে, ওই জমি তার বাইরে।
তবে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি-র খুব কাছে চীন যে ওই সেতু নির্মাণ শুরু করেছে, ভারত তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে। প্রশাসনের এক সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেছে ভারত।
লাদাখে প্রায় ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটারের লেক প্যাংগং। যার এক তৃতীয়াংশ ভারতে এবং দুই তৃতীয়াংশ চীনে। এই লেকেরই ফিংগার পয়েন্ট চার থেকে আট পর্যন্ত অঞ্চল বিতর্কিত এলাকা। দেড় বছর ধরে ওই এলাকাতেই ভারত এবং চীনের স্ট্যান্ড অফ হয়েছে। পরে দুই দেশ আলোচনার ভিত্তিতে সেনা খানিকটা প্রত্যাহার করেছে।
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যাচ্ছে এলএসি-র খুব কাছে উত্তর থেকে দক্ষিণে চীন একটি ৪০০ মিটার দীর্ঘ এবং আট মিটার চওড়া সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। নির্মাণের জন্য বড় বড় ক্রেন মজুত করা হয়েছে সেখানে। সেতুটি যেখান থেকে শুরু হচ্ছে, সেখানে চীনের সেনার একটি হাসপাতাল আছে। সেতুটি যেখানে পৌঁছাচ্ছে, এর আগে নিকবর্তী চীনা সেনা শিবির থেকে সেখানে রসদ পৌঁছানোর জন্য ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো। সেতু তৈরি হলে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে ৫০ কিলোমিটার। এই বিষয়টি নিয়েই উদ্বিগ্ন ভারত।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)