বিদ্রোহীদের দমনে গাদ্দাফি বাহিনীর চেষ্টা অব্যাহত
১১ মার্চ ২০১১আরব জগতে অস্থিরতার ঘটনাপ্রবাহে জুম্মা বারের আলাদা গুরুত্ব
টিউনিশিয়া, মিশরের সরকার-বিদ্রোহীরা জুম্মার নামাজের পর নতুন উদ্যমে স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠতে পেরেছিল বটে, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের ভাগ্য কিন্তু তেমন সদয় হচ্ছে না৷ এর মূল কারণ সামরিক বাহিনীতে বিভাজন ও গাদ্দাফির প্রতি একটা বড় অংশের আনুগত্য৷ গত কয়েক দিনের মতো শুক্রবারও লিবীয় বিমান বাহিনী রাস লানুফ সহ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বোমা বর্ষণ করেছে৷ বিমান বাহিনীর কল্যাণে তারা একের পর এক এলাকা পুনর্দখলও করছে৷ জাউয়িয়া শহরের তেল শোধনাগারে আবার উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে৷ চলছে সরকারের প্রচারণা যন্ত্রও৷ আজাবিয়া ও বেনগাজির মানুষ তাঁদের মোবাইল ফোনে এসএমএস বার্তা পেয়েছেন, যাতে লেখা আছে, ‘‘আনন্দ করুন, মুক্তির দিন এগিয়ে আসছে৷''
ইউরোপ সহ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া
ব্রাসেলস'এ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনে শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে সরাসরি মুয়ম্মর গাদ্দাফির উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন৷ সেইসঙ্গে নানা রকম প্রস্তাবের কথাও শোনা যাচ্ছে৷ ফ্রান্স ও ব্রিটেন প্রয়োজনে লিবিয়ার উপর সুনির্দিষ্ট সামরিক হামলার পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে, যদিও বাকি নেতারা এবিষয়ে অনেক বেশি সতর্কতার পক্ষে৷ লিবিয়ার বিদ্রোহীদের রাজনৈতিক স্বীকৃতির প্রশ্নে ইউরোপেই বিভাজন লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ ফ্রান্স গতকালই বিরোধীদের স্বীকৃতি ও দূত পাঠানোর ঘোষণা করলেও জার্মানি চায়, ইউরোপ সবার আগে লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলি ও আরব লিগ'এর মতামত শুনে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক৷ লিবিয়ার বিদ্রোহীরা বিদেশ থেকে আরও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে৷ জুম্মার নামাজের পর প্রায় ১৫,০০০ মানুষ বেনগাজির সমুদ্রতটে সমবেত হয়ে লিবিয়ার আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন' ও সমুদ্র উপকূলেও আন্তর্জাতিক বাহিনীর টহলদারীর দাবি জানিয়েছে, যাতে গাদ্দাফির বিমান বাহিনী তাদের উপর আর হামলা চালাতে না পারে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা