1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপুল ভোটে জয়ের পথে পুটিন

১৮ মার্চ ২০২৪

তিনদিন ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। অ্যামেরিকা ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছে।

https://p.dw.com/p/4dpbz
রাশিয়ায় নির্বাচন
রাশিয়ায় ক্ষমতায় ফিরছেন পুটিনছবি: Anton Vaganov/REUTERS

বিরোধীদের কেউ জেলে, কেউ দেশের বাইরে, কারও মৃত্যু হয়েছে। ফলে পঞ্চমবার যে দেশের প্রধান হিসেবে পুটিন নির্বাচিত হবেন, তা সকলেরই জানা ছিল। দেখার ছিল, তিনি কত শতাংশ ভোট পান। বুথ ফেরত সমীক্ষার দাবি, প্রায় ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন ভ্লাদিমির পুটিন।

গত তিনদিন ধরে ভোটগ্রহণ পর্ব চলেছে রাশিয়ায়। রোববার সবচেয়ে পশ্চিমের এলাকা কালিনিনগ্রাদে ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা করেছে দেশের জাতীয় গণমাধ্যম। সেখানেই দেখা গেছে, ৭১ বছরের পুটিন ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন। বাস্তবে এমনটা হলে এটা হবে রেকর্ড। জোসেফ স্তালিনের চেয়েও বেশি ভোটে ক্ষমতার সিংহাসনে বসবেন পুটিন। শুধু তা-ই নয়, টানা পাঁচবার দেশের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি হবেন গত ২০০ বছরে সবচেয়ে বেশি ধরে রাজত্ব করা রাশিয়ার শাসক। এক্ষেত্রেও তিনি স্তালিনের রেকর্ড ভাঙবেন।

ইউক্রেন আক্রমণ

দুই বছর আগে ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে ছিলেন পুটিন। পুরোপুরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। পুটিন অবশ্য যুদ্ধ নয়, একে অভিযান বলে দাবি করেছিলেন। সেই যুদ্ধ এখনো চলছে। তারই মধ্যে নির্বাচন হলো। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ পুটিনের পাশে কতটা দাঁড়াবেন, তা নিয়ে বিবিধ আলোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এই নির্বাচনের মাধ্যমে পুটিন দুইটি বিষয় প্রমাণ করতে চেয়েছেন। এক, দেশের মানুষের সমর্থন তার প্রতি আছে। এবং দুই, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখানো, রাশিয়ার জনগণ তাকে এখনো সমর্থন করছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি অবশ্য রাশিয়ার এই ভোটকে 'কারচুপির ভোট' বলে উল্লেখ করেছেন। বস্তুত, ভোট চলাকালীনও রাশিয়ার বেশ কিছু এলাকায় ইউক্রেন আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

অ্যামেরিকার অবস্থান

হোয়াইট হাউস স্পষ্ট জানিয়েছে, এই নির্বাচন 'ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার' বা অবাধ ও নিরপেক্ষ নয়। বিরোধীদের জেলে ঢোকানো, দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে নাভালনির মতো বিরোধীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। পুটিনের বিরুদ্ধে যারা এবারের ভোটে লড়াই করেছেন, তারাও কার্যত নির্বাচনি বক্তৃতায় পুটিনকে সমর্থন করেছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)